দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন ও বিশেষ সংবাদদাতা সাঈদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ অব্যহত রয়েছে। গতকাল বিভিন্ন সংগঠন মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নোমান গ্রুপের দায়ের করা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন ও বিশেষ প্রতিবেদক ও ঢাকাস্থ কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদ আহমেদের বিরুদ্ধে নোমান গ্রুপ মামলা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা। সংগঠনের সভাপতি মো: শরীফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন রোববার অনুষ্ঠিত ইসি কমিটির এক বৈঠকে এ নিন্দা জানান। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ধরণের মামলা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। ব্যাংক লুটপাট তথা দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ভয় ধরাতেই এ মামলা করা হয়েছে।
এদিকে ‘ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছে নোমান গ্রুপ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা সাঈদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। গতকাল সোমবার সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৩১ অক্টোবর ‘ঋণের নামে হাতিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা! আরেক হলমার্ক নোমান গ্রুপ। একই সম্পত্তির একাধিক দলিল। শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইনকিলাব। তারই সূত্র ধরে গত ২৩ নভেম্বর বুধবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শফিউদ্দিনের আদালতে মামলা করে নোমান গ্রুপ। দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় ২ হাজার কোটি টাকা মানহানি হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ইনকিলাব সম্পাদক ও বিশেষ প্রতিবেদক সাঈদ আহমেদকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন। ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, তথ্য-প্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব। সংক্ষুব্ধ যে কেউ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাতে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের প্রায় একমাস পর আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের পুরো বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সংগঠনের দফতর সম্পাদক রফিক রাফি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন