শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপির মিথ্যাচারের জবাব দেয়া হবে

শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে নগরজুড়ে থাকবে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ চট্টগ্রামে হানিফ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে আগামী ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি অব্যাহত আছে। চলছে মাইকিং, প্রচারপত্র বিলি। নেতারা পথসভা করে জনসভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন। চলছে প্রস্তুতি ও সমন্বয় সভা। সরকারি সেবা সংস্থাগুলোও প্রস্তুতি সমন্বয় করছে। মঞ্চ তৈরি, মাঠ সংস্কার, নিরাপত্তার পরিকল্পনা আর প্রচার চলছে জোরেশোরে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে ঘিরে নগরজুড়ে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

এদিকে জনসভা সফলে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর কাজির দেউড়ির একটি কনভেনশান হলে যুবলীগের এক প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনার জনসভায় বিএনপির মিথ্যাচবারের জবাব দেওয়া হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন সমাবেশে দেশের বিদ্যুৎ ও রিজার্ভ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। অথচ বর্তমানে দেশে রিজার্ভ আছে ৪৯ বিলিয়ন ডলার। হানিফ বলেন, বিএনপি মিথ্যাবাদী দল। তারা মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী দলকে সন্ত্রাসী বললে তাদের গা জ্বালা করে।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ সমস্যা কাটিয়ে উঠবো। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, তাই তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না। যতদিন শেখ হাসিনা আছে ততদিন বাংলাদেশের মানুষের কোনো চিন্তার কারণ নেই। বিএনপির জামায়াতের মিথ্যাচারে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর শাহিন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, সাহদাত তসলিম, যুগ্ম-সাধারণ বদিউল আলম বদি ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সহিদুল হক রাসেল, যুবলীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ দফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ।

সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় পলোগ্রাউন্ড পরিদর্শন করে জনসভার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত হন। এসময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও সেখানে ছিলেন। পুলিশ কমিশনার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ উৎসবমুখর পরিবেশে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা চান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স। তাদের তত্ত্বাবধানে এবং পরামর্শক্রমে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে।
সিএমপিতে আমাদের ছয় হাজারের মতো অফিসার-ফোর্স আছে। এর অধিকাংশই বিভিন্নভাবে নিরাপত্তার সাথে সংযুক্ত থাকবে। অন্য এলাকা থেকে দেড় হাজার ফোর্স সিএমপিতে যুক্ত থাকবে। এসএসএফ, পিজিএফ, সাদা পোশাকের পুলিশ, ইউনিফর্মের পুলিশ, গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তায় আর্চওয়ে, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ড্রোনসহ প্রযুক্তিগত সকল কিছু যুক্ত থাকবে। প্রযুক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিচ্ছি। শুধু পলোগ্রাউন্ডেই পুলিশ থাকবে না, পুরো শহর একটি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে।

জনসভার দিন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, যারা গাড়ি নিয়ে, মিছিল নিয়ে জনসভায় আসবেন, তারা কোথায় গাড়ি থেকে নামবেন, মিছিল কোথায় থামবে-সেটা আমরা জানিয়ে দেব। একটি বিষয় হচ্ছে- জনসভার দিন কিন্তু সকাল এবং বিকেলের শিফটে পরীক্ষা আছে। দুই শিফটে এক হাজার চারশ’র মতো করে পরীক্ষার্থী আছে। জনসভাস্থলের পাশেও একটি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। শব্দযন্ত্র এমনভাবে স্থাপন করা হবে, যাতে সেখানে কোনো সমস্যা না হয়। জনসভার আগে লাইসেন্সধারী অস্ত্র জমা নেয়ার একটি নির্দেশনা পাবার কথা জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।

এদিকে সাবেক সিটি মেয়র মোস্তফা হাকিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মনজুর আলম আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করে সাংহাই সিটি ন্যায় ওয়ান সিটি টু টাউন এর আদলে চট্টগ্রামকে গড়ে তুললেন। এ টানেল বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি। দক্ষিণ চট্টগ্রাম হবে শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রাণকেন্দ্র। সোমবার রাতে সিটি গেটস্থ এইচ এম ভবন অডিটরিয়ামে এক সুধী সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ সাইফুল আলম। বক্তব্য রাখেন লোকমান আলী, নুর উদ্দীন চৌধুরী, আলী আজগর চৌধুরী, মোহাম্মদ আলমগীর, বাদশা আলম, ডা. মোহাম্মদ শরীফ, মীর কাশেম দুলাল প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন