নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলায় খুনের পর কেটে ৬ টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া শিশু আয়াতের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে খালের মুখে সøুইচগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মর্জিনা আক্তার।
দুই পায়ের পর মাথাসহ এ নিয়ে শরীরের তিনটি খÐিতাংশ উদ্ধার করা হলো। সøুইচগেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে মাথাটি পাওয়া যায়। খুনি আবির আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেভাবেই কচটেপ মোড়ানো পলিথিনের ভেতরে মাথাটি পাওয়া গেছে। এর আগে, বুধবার একই এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ পাওয়া যায়, পরে আয়াতের বাবা-দাদাসহ স্বজনরা গিয়ে সেগুলো শনাক্ত করেন।
সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় সøুইচগেটের চারটি প্রকোষ্ঠের পানিপ্রাবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি প্রকোষ্ঠে আটকে যাওয়া পলিথিনে পা দু’টি পাওয়া যায়, যেগুলো আবিরের বর্ণনামতো পলিথিনের ভেতর কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। মাথা উদ্ধারের পর আয়াতের বাবা, মাসহ পরিবারের সদস্যরা সেখানে ছুটে যান। তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাসার সামনে থেকে আলীনা ইসলাম আয়াতকে তুলে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে আসামি আবির আলী। ১০ দিন পর ২৪ নভেম্বর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেফতার করে। তাকে দুই দফায় নয় দিনের রিমান্ডে আনা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে খুনের রহস্য উদঘাটন হয়। পরে তার বাবা আজহারুল ইসলাম, মা আলো বেগম ও ছোট বোন আখি আক্তারকে গ্রেফতার করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করতে বাড়িওয়ালার শিশু কন্যা আয়াতকে অপহরণ করে আবির আলী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন