মেঘনা উপক‚লীয় অঞ্চল লক্ষীপুরের ‘লক্ষ্মী’ হিসেবে পরিচিত অর্থকরী ফসল সুপারির এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। চলিত মৌসুমে লক্ষীপুরে উৎপাদিত সুপারির বাজার মূল্য প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বলে কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে। অর্থকরী এ ফসলকে ঘিরে এ অঞ্চলে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। সুপারির বাজার মূল্য ভালো থাকায় সুপারি চাষে আগ্রহ বাড়ছে এখানকার মানুষের।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে বর্তমানে ৬ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। আর এসব বাগানে এ বছর উৎপাদিত হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টন সুপারি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৩২৮ টন, রায়পুর উপজেলায় ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ৭ হাজার ৪০০ টন, রামগঞ্জ উপজেলায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৩৩১ টন, কমলনগরে ২৬৫ হেক্টর জমিতে ৩৭১ টন ও রামগতি উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে ৭০ টন সুপারি উৎপাদিত হয়েছে।
চলিত বছর মৌসুমের শুরুতেই সুপারি বিক্রির প্রধান মোকাম সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর শহর, দালাল বাজার, চর রুহিতা, ভবানীগঞ্জ, মান্দারী, দত্তপাড়া, জকসিন, চন্দ্রগঞ্জ, রায়পুর উপজেলা শহর, হায়দরগঞ্জ বাজার, সোনাপুর, দেনায়েতপুর, খাসেরহাট, মোল্লারহাট, মীরগঞ্জ বাজার, রামগঞ্জ উপজেলা শহর, কাঞ্চনপুর বাজার, করপাড়া বাজারসহ জেলার প্রতিটি বাজারে সুপারিকে ঘিরে চলছে জমজমাট ব্যবসা।
সুপারি ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, মওসুমের শুরুতে প্রতি পোন (৮০টি) পাকা সুপারি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে কেনা হয়েছে। বর্তমানে ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। তবে কাঁচা সুপারি কেনা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
লক্ষ্মীপুর কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সুপারিবাগান করার মধ্য দিয়ে এখানকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। সঠিক সময়ে সুপারি চাষিরা সঠিক পরিচর্যার কারণে এবার এ জেলায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কাঁচাপাকা সুপারির দাম কিছুটা বেশি। এতে ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন