বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

তুরস্কে নতুন তেলক্ষেত্রের সন্ধান মজুদ ১৫০ মিলিয়ন ব্যারেল

সিরিয়া, ইরাকে ‘সন্ত্রাসীদের’ আশ্রয় নিতে দেয়া হবে না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

নতুন তেলক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে তুরস্ক। দেশটির গাবার পাহাড়ে পাওয়া গেছে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিরনাক প্রদেশে অবস্থিত নতুন এই তেলের খনির। গত সোমবার মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে এই আবিষ্কারের কথা জানান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। এ খবর দিয়েছে আরটি। খবরে জানানো হয়, নতুন তেলক্ষেত্র থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি পাওয়া যাবে। ২০২২ সালে ভূমিতে যতগুলো নতুন তেলক্ষেত্র পাওয়া গেছে তার মধ্যে এটি সবথেকে বড়গুলোর একটি। এরদোগান বলেন, আমরা এ অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ৫০০০ ব্যারেল করে তেল উৎপাদন করি। এই তেলের মান অত্যন্ত ভাল। করোনা মহামারী চলাকালীন অনেক তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তুরস্ক সবসময় তার খনির অনুসন্ধান চালিয়ে গেছে। ২০২১ সালে ৩৪টি নতুন তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয়েছে। ফলে আমাদের রিজার্ভে ৭১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল যুক্ত হয়েছে। এরদোগান আরও বলেন, আমরা এই অঞ্চলের চারটি কূপ থেকে প্রতিদিন পাঁচ হাজার ব্যারেল উন্নতমানের তেল উৎপাদন করি। আর তুর্কি পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন দৈনিক ৬৫ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করে, যা পাঁচ বছর আগে ছিল ৪০ হাজার ব্যারেল। উল্লেখ্য, তুরস্কের পরিকল্পনা হচ্ছে, প্রতিদিন এক লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করা। এ জন্য দেশটি তার অনুসন্ধান ও খনন কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়া ও ইরাকে ‘সন্ত্রাসীদের’ আশ্রয় নিতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তুরস্ক। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এমন মন্তব্য করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, তুরস্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে এবং এর শাখা ওয়াইপিজি/পিওয়াইডিকে সিরিয়া ও ইরাকে আশ্রয় নিতে দেবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই সুযোগ দেবো না। এ বিষয়ে যে যাই বলুক না কেন, আমরা আমাদের যা যা প্রয়োজন তাই করবো।’ গত নভেম্বরে সিরিয়া ও ইরাকে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। মূলত তুরস্কের কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী পিকেকে এবং তাদের শাখা হিসেবে বিবেচিত ওয়াইপিজি/পিওয়াইডিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এই আন্তঃসীমান্ত অভিযান পরিচালনা করে দেশটি। আঙ্কারা বলছে, এই অভিযানের জন্য কারও কাছ থেকে অনুমতি নেবে না তারা। শুধু মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে আমরা কারও সম্মতি চাইবো না।’ তিনি বলেন, সিরিয়ার বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শুধু আঙ্কারার জন্যই নয় বরং ইরাক, জর্ডানসহ অন্য দেশগুলোর জন্যও হুমকিস্বরূপ। ইউরোপও এই হুমকির বাইরে নয়। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে), কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) এবং ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টিকে (পিওয়াইডি) তুরস্কের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আখ্যায়িত করেন ইব্রাহিম কালিন। তিনি বলেন, এই গোষ্ঠীগুলোর সামরিক স্থাপনা আমাদের জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু। সেটি তুরস্ক অথবা সিরিয়ায় যেখানেই হোক না কেন। আরটি, আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন