শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

তুরস্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে ড্রোন কিজিল এলমা

হুমকির মুখে তুরস্ক চুপ থাকতে পারে না : এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী হুমকির মুখে তার দেশ কোনওভাবেই চুপ করে থাকতে পারে না। মঙ্গলবার তুর্কমেনিস্তানে যাওয়ার প্রাক্কালে রাজধানী আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এরদোগান বলেন, উত্তর সিরিয়া থেকে শুরু হওয়া সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আঙ্কারার পক্ষে চুপ থাকা সম্ভব নয়। এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দূর করতে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর সিরিয়ায় আঙ্কারার সম্ভাব্য স্থল অভিযানের অবশ্য কোনও দিনক্ষণের কথা জানাননি তিনি। তবে বলেছেন, তুরস্ক কখনও সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আপোস করবে না। এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা হয়েছে তার। এরদোগান বলেন, ‘আমি তাকে (পুতিনকে) আবারও মনে করিয়ে দিয়েছি যে, সোচি চুক্তিতে আমরা যে লক্ষ্যে পৌঁছেছি সেটি স্পষ্ট।’ আঙ্কারা ও মস্কোর মধ্যে ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি অনুযায়ী, কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজি/পিকেকে-এর মিলিশিয়ারা সিরিয়ার তুর্কিয়ে সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ফিরে যাবে। তবে আঙ্কারা বলছে, মস্কোর সঙ্গে এ নিয়ে চুক্তি হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। এরদোগান বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে হুমকির মুখে রয়েছি এবং সম্প্রতি এটি জোরালোভাবে বেড়েছে।’ আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে। অপরদিকে ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়, নতুন ড্রোন কিজিল এলমা তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নেবে। মনুষ্যবিহীন যুদ্ধযানটির নির্মাতা বায়কার কোম্পানি এই তথ্য জানিয়েছে। তুরস্কের রপ্তানি সংসদ আয়োজিত ‘ইনোভেশন উইক’এর অনুষ্ঠানে বায়কার কোম্পানির সিইও হালুক বায়রাকতার বলেন, নতুন ড্রোন কাজিল এলমার হাইপারসনিক গতি রয়েছে। একইসঙ্গে এটা সামান্যই শনাক্ত করা যাবে। মনুষ্যবিহীন এই যানকে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত প্রকল্প বলে উল্লেখ করেন। হালুক বায়রাকতার বলেন, প্রতিরক্ষা সেক্টরে বিদেশের ওপর নির্ভর করা একটা সমস্যা। কাজিল এলমার মতো প্রযুক্তি তুরস্ককে স্বনির্ভর করবে। ব্যক্তিগত এই প্রকল্প বায়কারের রপ্তানি শুল্ক ব্যবহার করে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানান কোম্পানির এই সিইও। স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের নতুন এই ড্রোন ধীর পর্যবেক্ষণসম্পন্ন এবং ক্ষেপণাস্ত্রবহনযোগ্য ড্রোনের সম্প্রসারিত রূপ। ছোট রানওয়ে থেকে এটি উড্ডয়ন এবং অবতরণ করতে পারবে। এটা ‘এয়ার টু এয়ার’ মিসাইল নিক্ষেপে সক্ষম। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এই ড্রোন দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা যাবত ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে উড়তে সক্ষম হবে। আনাদোলু, ডেইলি সাবাহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন