শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশগ্রহণ করানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আলী আজম নামে এক বিএনপি নেতার হাতকড়া ও ডাণ্ডা বেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। গতকাল বুধবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, আলী আজম গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বোয়ালী ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি। গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায়, আলী আজমের মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে গত ১৮ ডিসেম্বর মারা যান। শেষবার মায়ের মরদেহ দেখতে এবং জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে আইনজীবীর মাধ্যমে ১৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। গত ২০ ডিসেম্বর তিন ঘণ্টার জন্য তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তিনি তাঁর মায়ের জানাজায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পান। প্যারোলের পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডাণ্ডা বেড়ি পড়া অবস্থায় ছিলেন তিনি। এমনকি, জানাজা পড়ানোর সময় তাঁর হাতকড়া ও ডাণ্ডা বেড়ি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও, পুলিশ তা খুলে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

উল্লেখ্য, আলী আজম গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গত ২৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ এর কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বা দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। সংবিধানে এমন বিস্তৃত অধিকার থাকা সত্ত্বেও একজন সাধারণ নাগরিককে মায়ের জানাজায় ডাণ্ডা বেড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া কেবল অমানবিকই নয় বরং মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। পাশাপাশি এক্ষেত্রে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডাণ্ডা বেড়ি পরানো বিষয়ক উচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে সেটাও অনুসরণ করা হয়নি। তাছাড়া আলী আজম কোনো সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি নন বলে গণমাধ্যমে খবর বেড়িয়েছে বরং তিনি একটি গায়েবি রাজনৈতিক মামলার আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে যেই মামলাটি রয়েছে সেই মামলার বাদী এই ঘটনা ও মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে তিনি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে মতামত ব্যক্ত করেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ধরণের নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অসংবেদনশীল আচরণের তীদ্র নিন্দা জানাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Add
Mostafa Mojumder ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৪ এএম says : 0
জুলম ভালোনা আল্লাহ পছন্দ করেনা
Total Reply(0)
Add
MM Shaif ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
· আজ যদি তুমি কারো উপর জুলুম করো তার প্রতিদান অবশ্যই পাবে
Total Reply(0)
Add
Abdullah ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৮ এএম says : 0
এ রকম করা মোটেই ঠিক হয়নি। পুলিশের একটু ন্যুনতম মানবতাও দেখায়নি। এছাড়া আমার জানা মতে এরকম আইনও নেই। সে পুলিশ নিসন্দেহে আ.লীগের পাচাটা দালাল।
Total Reply(0)
Add
Arafat Bogra ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৪ এএম says : 0
সবাইকে মরতে হবে, মানবিক কারণে হলেও মায়ের জানাজা পড়ানোর সময় যদি হাত কড়াটা খুলে দিত,তাহলে জানাজা পড়ানো সুবিধা হইতো।
Total Reply(0)
Nazmul Hasan ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
কতটা নির্দয় হলে এরকম আচরন। জুলুমের একটা সিমা থাকা দরকার।
Total Reply(0)
Abdullah Al Mamun ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
বাংলাদেশ আইন আছে এটা কেউ বিশ্বাস করে? বাংলাদেশ পুলিশ ওদের মন মত দেশ শাসন করছে,কেন না একজন ক্ষমতা থাকতে তাদের জবাবদিহিতা করতে হয়না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ