সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে জেলা ও মহানগরে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। গত শনিবার সেই কর্মসূচি পালনকালে পঞ্চগড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন। তার মৃত্যুতে গায়েবানা জানাযা কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। গতকাল রোববার ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা গায়েবানা জানাযা পড়েন। রাজধানীতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাদ আসর গায়েবানা জানাযায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা এবং সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পরে ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিনের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
গায়েবেনা জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাপগা) খন্দকার লুৎফর রহমান, যুব জাগপার আমির হোসেন আমু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, বিএনপির মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান সহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে তাদের সময় শেষ, বিদায় নিতে হবে। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন গুম-খুনের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী চেষ্টা করবেন না। জনগণের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার নিয়ে অনেকদিন ছিনিমিনি খেলছেন। জনগণের পিট দেওয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণ জেগে উঠেছে। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি গতকাল রোববার বাদে আছর দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন মাঠে পুলিশের গুলিতে পঞ্চগড় জেলাধীন বোদা উপজেলার ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরফিনে গায়েবনা জানাজাপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, জনগণকে সরকার ভয় পায়। এই সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাটে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে । বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহব্বানে যখন জনগণ আজ রাজপথে নামতে শুরু করেছে, তখনই সরকার সারাদেশে গুম, খুনের রাজনীতি শুরু করেছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মামলা-হামলা-নির্যাতন, হত্যা করে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। বেশিদিন আর টিকে থাকতে পারবে না। তাই পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, নির্যাতন নিপীড়ন যত বেশি হবে আন্দোলন তত বেশি বেগবান হবে। বিএনপি নেতাকর্মীরা মামলা হামলাকে ভয় করে না। এই সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব। শহীদ আব্দুর রশিদ আরফিনের গায়বানা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, ছালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগির, কাজী মো. সালাহ্ উদ্দীন, নগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল ফয়েজ, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড. আবু তাহের, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, আবু আহম্মদ হাসনাত, আনোয়ার হোসেন, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মো. জসিম, পাহাড়তলী থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জিয়া রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম স্বপন, ইউসুফ সিকদার, আলাউদ্দিন আলী নূর, নগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হাজী নুরুল হক, তাঁতি দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটু, মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, অ্যাড. আনোয়ার হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন, যুবদল নেতা ফজলুল হক সুমন, আব্দুল গফুর, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিন রাসেল, মো. হাসান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন