ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের জায়গা দখলে হিড়িক পড়েছে। ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু এনে মহাসড়কের জায়গা দখল করে বালি ভরাটের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছেন এক শ্রেণির অসাধু মহল। অবৈধভাবে বালি ভরাটে মহাসড়ক ও ওয়াসার সেইফটি পিলার নষ্ট করে স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে এই অসাধুমহলটি। প্রতিনিয়ত রাতের বেলায় ড্রাম ট্রাম যোগে বালি এনে ভরাট করা হচ্ছে মহাসড়কের এসব জায়গা। মহাসড়কে বালুবাহী ড্রাম ট্রাক যাতায়াতের ফলে ট্রাম থেকে বালি পড়ে বালি জমা হয়ে থাকে মহাসড়কে। আর এই বালির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গেলেই বালুতে সিøপ খেয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা।
পদ্মাসেতু উত্তর থানার সামনে থেকে সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে নির্মাণাধীন রেলওয়ে সড়কটি এক্সপ্রেসওয়ের পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে কুচিয়ামোড়া ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে পুনরায় এক্সপ্রেওয়ের পূর্ব পাশ দিয়ে চলে যায়। মহাসড়কের পূর্ব পাশে শ্রীনগর ছনবাড়ী ফাইওভার সংলগ্ন মহাসড়কের জায়গা বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। ষোলঘর ভূইচিত্র কবরস্থানের উত্তর পাশে মহাসড়কের জায়গা হাউজিং প্রজেক্ট বালি ভরাট করে তাদের নিজস্ব স্থাপনা নির্মাণ করছেন। খৈয়াগাও যেতে রাস্তার উত্তর পাশের বিশাল জায়গা বালি ভরাট করা হয় এবং হাসাড়া বাসস্ট্যান্ডে পাশে জায়গা, হাসাড়া কালীকিশোর স্কুল এন্ড কলেজের রাস্তার দক্ষিণ পাশের জায়গা, হাসাড়া হাইওয়ে থানার উত্তর পাশের মহাসড়কের জায়গাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় মহাসড়কের জায়গা এই অবৈধভাবে বালি ভরাট করা হয়েছে।
মহাসড়কের সার্ভিস লেনে যাতায়াতকারী একাধিক যানবাহনের চালকরা জানান, ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালি এনে রাতের বেলায় এসব জমি ভরাট করা হচ্ছে। বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের বালু রাস্তা পড়ে জমা হয়ে থাকে। আমাদের গাড়ি এই বালির উপর উঠলেই গাড়ির চাকা সিøপ খায়। এতে আমরা চালকরা যাত্রীসহ অনেক সময় আমাদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
শ্রীনগর ছনবাড়ী ফাইওভারে পাশে মহাসড়কের জায়গা ভরাটের ব্যাপারে নাজমুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এই জায়গাটা নিয়েছি হাসপাতাল করার জন্য। হাইওয়ের অংশ পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছি।
ষোলঘর ভূইচিত্র কবরস্থানের উত্তর পাশে একটি হাউজিং প্রজেক্ট স্বপ্নধারা অবৈধভাবে মহাসড়কের জায়গা ভরাটের বিষয়ে স্বপ্নধারার অপারেশন ম্যানেজার মুরাদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জায়গা আমার হাইওয়ের কাছ থেকে লীজ নিয়েছি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ শাখার রোডস এন্ড হাইওয়ের প্রকৌশলী মো. আবদুল মোমেন বলেন, আর্মিরা রোডের কাজটি করতেছে। তারা এখনও রাস্তাটি রোডসের কাছে হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তরে পূর্বে রাস্তার ডানে এবং বামে রোডসের জায়গা পরিমাপ করে হস্তান্তর করার জন্য তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।
রোডস এন্ড হাইওয়ে তাদের জায়গা লীজ দিয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, হাইওয়ের কোন জায়গা লীজ দেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা রাস্তা বুঝে পেলে কেউ যদি রোডসের জমি দখল করে থাকে সেগুলো আমরা উচ্ছেদ করবো।###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন