হালাল কসমেটিকস পণ্যে ভর করে সম্ভাবনা দেখছে ইন্দোনেশিয়ার কসমেটিকস ব্র্যান্ডগুলো। বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে শক্তিশালী অবস্থান অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে বাজার সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। এমনকি মুসলিম বিশ্বের বাইরেও বাজার সম্প্রসারণের আশা দেখছে কসমেটিকস কোম্পানিগুলো। ২০১৪ সালে বিভিন্ন ভোক্তা পণ্যে হালাল সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করে ইন্দোনেশিয়া। ২০২৬ সালে সব ধরনের কসমেটিকস পণ্যে হালাল সার্টিফিকেট দেয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। হালাল সার্টিফিকেশন মানে হচ্ছে উৎপাদিত পণ্য ইসলামী বিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এতে নিষিদ্ধ উপাদান নেই। ইন্দোনেশিয়ার বিউটি ব্র্যান্ড এসকার সহপ্রতিষ্ঠাতা কেজিয়া তৃহাতমান্তো নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, আগে মানুষের ধারণা ছিল হালাল ব্র্যান্ড শুধু মুসলিমদের জন্যই। কিন্তু এখন অনেকেই স্বাস্থ্যগত প্রয়োজন মাথায় রেখে হালাল পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এসকা এখন ইন্দোনেশিয়ার বাইরেও বিস্তৃত হচ্ছে। বর্তমানে ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করছে এসকা। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান প্রিসিডেন্স রিসার্চ জানায়, ২০২২ সালে বৈশ্বিক হালাল কসমেটিকসের বাজার দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৩২ কোটি ডলারা। ২০৩০ সালে তা তিন গুণ বেড়ে ১৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করছে ইন্দোনেশিয়ার বিউটি স্টার্টআপগুলো। গত নভেম্বরে বৈশ্বিক ভোক্তা পণ্য জায়ান্ট ইউনিলিভার ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ইস্ট ভেঞ্চার্সের কাছ থেকে ৬০ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে এসকা। অন্যদিকে রাকুতেন ভেঞ্চার্সের কাছ থেকে সমপরিমাণ বিনিয়োগ পেয়েছে বেস। ইউরোমনিটরের উপাত্তে বলা হয়, ২০২১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কসমেটিকস বাজার হিসেবে থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ২০২৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার কসমেটিকস বাজার ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি। নিক্কেই এশিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন