শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি বর্তমান প্রজন্মের কাছে কল্পকাহিনী

ভবিষ্যতে বন্দি হবে ফটো ফ্রেমে

এস কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

‘বৌ ধান ভানেরে ঢেঁকিতে পার দিয়া, ঢেঁকি নাচে, বৌ নাচে হেলিয়া দুলিয়া, ও বৌ ধান ভানেরে।’ ঢেঁকি নিয়ে এমন অসংখ্য কবিতা-গান রয়েছে। আবহমান গ্রামবাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে। যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশে রাইচ এন্ড ফ্লাওয়ার মিলের আধিক্যের কারণে ঢেঁকি হারাতে বসেছে!
অথচ এমন এক সময় ছিল যখন ধান থেকে চাল তৈরির একমাত্র মাধ্যমই ছিল ঢেঁকি। ঢেঁকিতে ছাটা চাল যে স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন গ্রামের বৌ-ঝিরা ঢেঁকিতে ধান ভানতেন পালাক্রমে। আর ধান ভানার সময় মনের আনন্দে মুখে পানের খিলি দিয়ে চিবুতে চিবুতে গান-গীত করতেন। সেই ধান ভানার স্মৃৃতির কথা বর্তমান প্রজন্মের কাছে যেন কল্পকাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে জমি থেকে পাকা নতুন ধান ওঠার পর ঢেঁকিতে ধান ভেনে ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসবের আটা তৈরি ও পিঠা তৈরির যে ধূম পড়তো। অথচ সেই উৎসব যেন আজ বর্তমান প্রজন্মের কাছে কল্পকাহিনী। কেউ কেউ ঐতিহ্য ধরে রাখলেও প্রতিটি বাড়িতে পিঠা-পায়েশ রান্নার আয়োজন তেমন একটা দেখা যায় না।
তখন কি যে আনন্দ প্রত্যেক পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে শিশু-কিশোররা মনের আনন্দে নেচে-গেয়ে বাহারি সাজের রকমারি পিঠা-পয়েশ খেত। তা যেন আজ শুধুই স্মৃতি!
ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষক মো. সহরোওয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি এখন আর দেখা যায় না। ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল বাজার দূরের কথা বাড়িতে তেমন একটা দেখা যায় না। অবশ্য এখনো গ্রামবাংলায় দুই একটি বাড়িতে ঢেঁকি চোখে পড়ে। হয়তো কয়েক বছর পর আর চোখেই পড়বে না। ফটো হিসাবে ফ্রেমে বন্দি হয়ে থাকবে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন