শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শেখ হাসিনাকে হটানোর চক্রান্তে মরিয়া অতিবাম-অতিডান পন্থীরা

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:১১ পিএম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গণতান্ত্রিক করেছে। বিএনপি কি গণতন্ত্র দেবে দেশকে,তারাতো গণতন্ত্র কিভাবে দেন সেটাও জানেনা। তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছে। তখন বিচারপ্রতি আজিজ তাদের দলের নেতা ছিল। তাকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করেছিল। তারা নিজেরাই নির্বাচনী অবস্থাকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে গেছে। মির্জা ফখরুল জানে তাদের দলের কখন কনফারেন্স হয়েছে। আমাকে আপনারা অভিনন্দন জানালেন তৃতীয় বার। আমরা তিন বছরের মাথায় কনফারেন্স করি,বিএনপির কনফারেন্স কোন শাখায়ও নাই,ঢাকায়ও নেই। তাদের নিজেদের দলের গণতন্ত্রই নেই তারা দেশে কি করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে এটা আমার বড় প্রশ্ন।

আজ শনিবার দুপুরে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,বিরোধী দলের আন্দোলন আমরা মোকাবেলা করছি ঠান্ডা মাথায়। আমরা ক্ষমতায় আছি,আমরা কোন ধরনের অশান্তি চাইনা,সংঘাত চাইনা। আমরা কোন অবস্থাতেই খারাপ পরিস্থিতির উস্কানী দিতে পারিনা। আজকে তারা আন্দোলনের নামে সহিংসতার উপদান সৃষ্টি করতে চাইছে। গতকালও মৌচাক মালিবাগের দিকে একটা সংঘাত সহিংসতার সৃষ্টি করেছে। আমাদের নেত্রীর নির্দেশ মোতাবেক আমরাও মাঠে ছিলাম, সারা বাংলাদেশের রাজপথে সতর্ক পাহারায় ছিলাম। আমরা আক্রমণ করব না। আক্রান্ত হলে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি বলে দিবে কিভাবে আমরা তার জবাব দেব।

মন্ত্রী বলেন, তারা গণমিছিল করেছে ৩৩ দল, এর মধ্যে বেশির ভাগই ঢাল নাই তলোয়াল নাই। অতিবাম-অতিডানের সাথে মিলে মিশে একট্রা হয়ে গেছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে হটাও শেখ হাসিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পৃথিবীর কোন দেশে নেই। আমরা কেন নিজেদেরকে ছোট করছি। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে,সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো। সরকার কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব তারা কতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্বাধীন ভূমিকা পালন করবে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা গুলো সম্পূর্ণরুপে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। কাজেই তাদের এসব বিষয় নিয়ে মাথাব্যাথা করার কোন কারন নেই। আমি তাদেরকে আহবান করছি নির্বাচনে আসার জন্য। দেশকে অস্থিতিশীল করে কারো কোন লাভ নেই।

কাদের বলেন, আমরা ম্যাট্রো রেল,পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেল করেছি। আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় থাকবে না এগুলোর উপকারভোগী হবে বাংলাদেশর জনগণ। এটা কোন পাটির জন্য আমরা করেনি। দেশের জনগণের জন্য করেছি। তারা এসব নিয়েও আজকে মিথ্যাচার করছে। দুর্নীতির নামে অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছে। এসব নানান অপবাদ তারা দিচ্ছে। আমি বিরোধীদলকে বলবো উস্কানীমূলক অপতৎপরতা এবং সরকার পরিবর্তনের যে দিবাস্বপ্ন দেখছেন সেটা সফল হবেনা ইনশাআল্লাহ। আমার বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে। এর মধ্যে দেশের ক্ষতি করে কি লাভ। নির্বাচনে বিএনপিসহ নিবন্ধিত সব দলকে আমরা স্বাগত জানাবো। আমি আশা করি এ কালো মেঘ কেটে যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য জনাব নিজাম উদ্দিন হাজারী,ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান,ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড.হাফেজ আহমেদ (পিপি), পৌরসভার মেয়র জনাব নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু শুসেন চন্দ্র শীল প্রমুখ। পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষ করে ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়ে নিজ জেলা নোয়াখালী উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় রাস্তায় অপেক্ষমান হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ তাঁর গাড়ি বহরে ফুল ছিটিয়ে অভিনন্দন জানান। এর আগে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বহণকারী হেলিকপ্টারটি ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে অবতরণ করেন। পরে ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন