পাবনার ঈশ্বরদীতে এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে পৌর যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুইজন। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন হোসেন ঈশ্বরদী পৌর শহরের পিয়ারখালী মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন- পশ্চিমটেংরি পিয়ারখালী মহল্লার শরীফ উদ্দিনের ছেলে রকি হোসেন ও একই এলাকার বাবু হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন। অভিযুক্তরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় হোসেন এবং ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারীপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনার সামনের গøাস ভেঙে যায়। লেগুনাচালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গøাস ভাঙার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ সময় কাচারীপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন, রকি ও সুমন দুই চালকের বাগবিতÐা থামাতে যান। আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে ভটভটি চালককে হুমকি দেন ও তাদের সঙ্গে বাগবিতÐায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আনোয়ার তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে সেখানে থাকা রিকশাচালক মামুন হোসেন ও রকি হোসেনকে গুলি করেন। সে সময় তার সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাতে আহত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থা তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঈশ্বরদী থানা ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়াও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের ইতোমধ্যে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন