উত্তর : ইসলামে পবিত্রতার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ, এটি হাদিসের কথা। নবী করিম সা. বলেছেন, তোমরা পেশাব থেকে বেঁচে থাকো। কারণ, অধিকাংশ কবরের আজাব এ জন্যই হয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন শরীফে মসজিদে কুবায় অবস্থানকারী একদল সাহাবীর পবিত্রতা অর্জনের বিষয়টি আল্লাহ তায়ালার খুব পছন্দ হয়। তিনি প্রসঙ্গ তাদের উল্লেখ করেন। বলেন, সে মসজিদে কিছু মানুষ এমন আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন। তাফসীরে আছে, এ সাহাবীরা পেশাবের পর ঢিলা ব্যবহারের পাশাপাশি পানিও ব্যবহার করতেন। এ পটভূমিকার পর সকলের অবগতির জন্য বলতে চাই, পেশাব পায়খানা থেকে ১০০% পবিত্র না হলে অজু ও নামাজ একটাও সহীহ হবে না। অতএব, মূল লক্ষ্য পেশাব থেকে পবিত্র থাকা। যার শারীরিক সুস্থতা ও সক্ষমতা অটুট আছে, তার জন্য পানি ব্যবহার কিংবা ঢিলা ব্যবহার যথেষ্ট। উভয়টি ব্যবহার করা অধিক পছন্দনীয়। তবে, পুরুষের একটি সময় এমন আসে যখন পেশাব শেষ করে পানি ব্যবহার করে উঠে যাওয়ার পরও এক দু’ফোটা পেশাব পুনরায় বের হয়। যা অজু আগে হলে কাপড় নাপাক হয়, অজুর পর হলে অজু ভেঙ্গে যায়, নামাজের ভেতর হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। এ সমস্যা যার তার পক্ষে পেশাবের পর সামান্য হাঁটাচলা করে, কাশি দিয়ে, প্রয়োজনে উঠবস করে শেষ পেশাবটুকুও বের করা জরুরী হয়ে পড়ে। ঢিলা বা টিস্যু থাকলে ফোটাগুলো শুষে নেয়। পেশাব আর হবে না এমত প্রত্যয় জন্মালে পানি ব্যবহার করা উত্তম। এ সমস্যাটুকু যার আছে (সব পুরুষেরই জীবনের নানা সময়ে এমন হয়েই থাকে) তার জন্য এসব কৌশলে পবিত্র হওয়া জরুরী। যার সমস্যা নেই, তার জন্য এতকিছুর প্রয়োজন নেই। অবশ্য মানুষের সামনে, দৃষ্টিকটু হাঁটাচলা, কাশি ইত্যাদি নিষিদ্ধ। যা অশ্লীল পর্যায়ে চলে যায় এবং ইসলামের সুন্দর ফিচারকে কলুষিত করে। আপনার প্রশ্ন ঠিকই আছে।
কিন্তু প্রশ্ন এখানে পবিত্রতার। প্রয়োজন হলে অফিসে বা আরও গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও যেভাবেই পারেন, পেশাব থেকে পবিত্র হবেন। তবে, খেয়াল রাখবেন, এসব কাজ যেন ফ্রেশ হওয়ার মতই আড়ালস্থানে শালীন উপায়ে হয়। ব্যক্তিগত এ কাজটি অবিবেচক, নির্লজ্জ ও দৃষ্টিকটু উপায়ে করা না হয়। মনে রাখতে হবে, হাদিসের বাণী ‘পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ’ যেমন আমলযোগ্য। ‘লজ্জা শরম ঈমানের অঙ্গ’ এ বাণীটিও কম প্রণিধানযোগ্য নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন