আইনসম্মতভাবে আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালুর ঘোষণাকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সাইবার অপরাধের সামিল হিসাবে আখ্যায়িত করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্সপার্টি। গতকালগণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটি এ মন্তব্য করে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বিবৃতিতে বলেন, আধুনিক কোন গণতান্ত্রিক সমাজ রাষ্ট্রকে যথেচ্ছভাবে তার নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘনকে আইনানুগ করার অনুমতি দিতে পারেনা। বিপুল অর্থ ব্যয় করে ইসরায়েলী প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকার বহু আগে থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন করে আইন বহির্ভূতভাবে আড়ি পেতে আসছে। এখন থাকে তারা আইনী কাঠামোয় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধীতা আর সরকার বিরোধিতা এক জিনিস নয়। বস্তুত সরকার বিরোধিতাকে রাষ্ট্রবিরোধীতা আখ্যায়িত করে সরকার এখন বিরোধী মত, চিন্তা ও তৎপরতাকে দমন করতেই যে কোন যায়গায় যে কোন ব্যক্তির উপর আড়ি পাতাকে বিধিসম্মত করতে চায়। সরকারের এই নিবর্তনমূলক তৎপরতা দেশের জনগণের সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার পরিপন্থী। এদিকে পৃথক অপর এক বিবৃতিতে বিদ্যুতের আরেক দফা দাম বৃদ্ধি স্বেচ্ছাচারী ও হটকারি বলে উল্লেখ করেছে দলটি। বিবৃতিতে বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের আরেক দফা দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারী ও হটকারি হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, জবাবদিহিবিহীন সরকার জনগণের উপর একের পর এক দুর্ভোগ চাপিয়ে দিচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চুরি, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর না করে তার জন্য উল্টো শাস্তি দেয়া হচ্ছে জনগণকে।
তিনি বলেন, এই সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়াল। এর আগে গেল ৫ জুন ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ, আর গেল ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের অবিশ্বাস্য দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের এসব হটকারি গণবিরোধী সিদ্ধান্তে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট চরমে উঠেছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতেও এর মারাত্মক নেতিবাচক অভিঘাত দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে সরকার এই খাতে তার ভুলনীতি, চুরি, দুর্নীতিকে আড়াল করতে চায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন