বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি দেশের বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে : ডিসিসিআিই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:০৯ পিএম

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি দেশের বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এর মধ্যে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রাথমিক জ্বালানি সংকট, যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানি নির্ভর। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বিদ্যুৎ নির্ভর শিল্প কারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচলনায় অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, দেশের বেসরকারিখাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে ইতোমধ্যেই প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্থিরতার কারণে সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকার স্থানীয় শিল্প ও বেসরকারি খাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তীতেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

ডিসিসিআই বলছে, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে এবং সেই সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে। সরকার যেন বিদ্যুতের মূল্য সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে, যাতে করে বেসরকারিখাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার যেন পুনরায় এই বর্ধিত মূল্য, হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিষয়টি কোনভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না।

ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির হয়তো কোনো বিকল্প নেই। তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে করে এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারিখাত আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশ জ্বালানি আমদানির ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল, এমতাবস্থায় নবায়নযোগ্য ও বিকল্প জ্বালানির উৎস খুঁজে বের করতে এবং একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে প্রাধান্য দিতে হবে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে স্বল্পতার সংকট মোকাবিলায় সরকারকে নিয়মিতভাবে সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা যাচাই করা এবং সিস্টেম লসকে হ্রাস করার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। শিল্প ও বিনিয়োগ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ধরে রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন