চলতি বছর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি মাধ্যমিক-২) আক্তার উননেছা শিউলীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আক্তার উননেছা শিউলী জানান, যেহেতু নতুন পাঠ্যক্রমে এ দুটি পরীক্ষার কথা উল্লেখ নেই, তাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ডিসেম্বরের শেষ দিকে এ দুটি পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায়। প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন।
করোনার সংক্রমণের কারণে গত তিন বছর ধরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা পরীক্ষা হয়নি। নতুন শিক্ষাক্রমেও এই পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা নেই। এমন অবস্থায় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুই পাবলিক পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশ থেকে জানা যায় তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাই ২০২২,২০২৩ এবং পরবর্তীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
২০০৯ সালে হঠাৎ করেই জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। প্রথমে শুধু সাধারণ ধারার শিক্ষায় এটি সীমাবদ্ধ ছিল। পরে মাদরাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পঞ্চম শ্রেণির সমমান) পরীক্ষাও চালু করা হয়। এরপর ২০১০ সালে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এসব পরীক্ষা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা আছে। সাধারণত প্রতি বছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ জন্য গত তিন বছর এ পরীক্ষাগুলো হয়নি।
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও গত তিন বছর ধরে আর হচ্ছে না। কিন্তু বিদায়ী বছরের শেষ পর্যায়ে আকস্মিকভাবেই পঞ্চম পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চাপিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন