শেকৃবি সংবাদদাতা : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভিসিদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কারো সাথে আলোচনা না করে এ ধরনের প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ প্রমাণ না দিতে পারলে টিআইবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ড. মো: আলাউদ্দিন বলেন, একটি বিশেষ মহল দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারা প্রতিবেদন প্রকাশকালে দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাথে কথা বলেনি। ঢালাওভাবে দেশের সমস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর এই অনুমাননির্ভর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়সমূহের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পরিষদের সকল সদস্য তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। সেই সাথে তারা টিআইবির প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেন। তারা বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থাকে বিতর্কিত না করে এর সত্য উদঘাটন করতে সকলের সচেষ্ট থাকা উচিৎ। উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর দেশের জাতীয় দৈনিকে টিআইবির এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত। এতে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টির মধ্যে প্রভাষক নিয়োগে নানা অনিয়ম ও আটটির মধ্যে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তোলে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, জাবি ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, রাবি ভিসি অধ্যাপক মুহম্মদ মিজান উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান , কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফসহ ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন