শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

তুরস্কের ভাগ্য নির্ধারণ করবে জনগণই : এরদোগান

বিরল ইউএফও মেঘ তুরস্কে দেখা গেল

 ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

এবার তুরস্কের অর্থনীতি নিয়ে ব্রিটিশ সাপ্তাহিক দি ইকোনোমিস্টের নেতিবাচক সংবাদ নিয়ে মুখ খুললেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, তুরস্কের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ, ব্রিটিশ পত্র-পত্রিকা নয়। ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমার দেশের ভাগ্যবদল করবে আমার দেশের জনগণ, তারাই এ দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন। এদিকে, আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে পারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছেন এরদোগান। যদিও মূল্যস্ফীতি আর খাদ্যপণ্যের দামবৃদ্ধির কারণে অস্বস্তিতে রয়েছেন এই তুর্কি নেতা। এরদোগানের আমলেই মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় তুরস্ক। তবে সম্প্রতি অর্থনৈতিক কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যাপকভাবে অর্থের মান কমেছে দেশটিতে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে ২০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোগান। এই দুই দশকের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন ৬৮ বছর বয়সি এই নেতা। মূল্যস্ফীতি আর খাদ্যপণ্যের দামবৃদ্ধির কারণে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে এরদোগানকে। এবারের নির্বাচনে মূল্যস্ফীতি সামলাতে না পারার খেসারত দিতে হতে পারে একে পার্টির এই নেতাকে। খবর টিআরটি ও ইয়েনি সাফাকের। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুরসা থেকে এটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে, অনেক মানুষ মেঘের বিস্ময়কর এ গঠন দেখতে জড়ো হয়েছিলেন। বিরল একটি মেঘের গঠন তৈরি হল তুরস্কের আকাশে, যা তৈরি করেছিল দৃষ্টিবিভ্রম, অনেকের কাছেই এটা লাগছিল ইউএফওর (আনআইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্ট) মতো। বৃহস্পতিবার সকালে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুরসা থেকে এটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অনেক মানুষ মেঘের বিস্ময়কর এ গঠন দেখতে জড়ো হয়েছিলেন, অনেকেই ছবি তুলেছেন ভিডিও করেছেন আর সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন, পাশাপাশি এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর হয়েছে। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লেন্টিকুলার মেঘ নামে পরিচিত প্রায় বৃত্তকার মেঘের ঢেউয়ের মতো এ গঠনটি সূর্যোদয়ের সময় দেখা যেতে থাকে. আর প্রায় এক ঘণ্টার মতো আকাশে ছিল, এর মাঝখানে বড় একটি গর্তও ছিল। বায়ুম-ল আদ্র হওয়ায় এই ধরনের মেঘ দেখা যাওয়ার পরদিন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। দেখতে অদ্ভুত বুরসার এই মেঘের ছবি ও ভিডিও বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে। শত শত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী মেঘটি দেখতে ‘ইউএফও’র মতো বলে মন্তব্য করেছেন। তুরস্কের আবহওয়া পরিষেবা বিরল এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে শুধু একটি ‘লেন্টিকুলার মেঘ’ বলে বর্ণনা করেছে। এ ধরনের মেঘের গঠন সাধারণত পার্বত্য এলাকাগুলোতে দেখা যায়। মারমারা সাগরের নিকটবর্তী শহর বুরসা প্রায় আড়াই হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত উলুদাগের পাদদেশে অবস্থিত। তাই এখানে এ মেঘ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা সবসময়ই ছিল। লেন্সসদৃশ এ মেঘকে কখনো কখনো ইউএফও মেঘও বলা হয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পার্বত্য এলাকায় বায়ুপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে অনেক সময় একই স্থানে পাক খেতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে বায়ুর অংশবিশেষ উপরের দিকে উঠে গিয়ে শীতল হয় ও এ ধরনের মেঘের গঠন তৈরি করে। দেখে মনে হয়, মেঘটি স্থির; কিন্তু আসলে এর মধ্য দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হতে থাকে। বাতাস আবার পড়ে গেলে এটি উষ্ণ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে, এতে মেঘের ঘনীভূত অবস্থা আর থাকে না ফলে এটি আর দেখা যায় না। গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন