পাবনার ঈশ্বরদীতে কয়েক মাস আগে ঋণসংক্রান্ত মামলায় ১২ জন কৃষককে গ্রেফতার করা হয়। ২৫ হাজার টাকা করে কৃষিঋণ নেয়া ওই কৃষকদের কোমড়ে রশি বেঁধে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই উপজেলায় ৩৭ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ঋণখেলাপি ওই কৃষকরা জামিন পেলেও ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই ফেলে দেয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়। ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কৃষকের কোমড়ে দড়ি লাগিয়ে কারাগারে নেয়া হলেও ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নেয়া রাঘব-বোয়ালদের কিছুই হয় না। রাঘব-বোয়ালদের এই ব্যাংক ঋণে যুক্ত হয়েছে ভুয়া দলিল। ভুয়া দলিল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। এমনকি ব্যাংকে হিসাব খোলার আগেই অনেক বড় উদ্যোক্তার নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের অনেক উদাহরণ রয়েছে। আবার ভুয়া দলিলে বড় অঙ্কের ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই।
জানা যায়, পুরান ঢাকার বাসিন্দা দিলসাদ বেগম। বেসরকারি একটি ব্যাংক থেকে ২০১০ সালে ৪ লাখ টাকার ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করেন। ব্যাংকে কিস্তি ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা পরিশোধের পর অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ব্যাংকের মামলায় ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। পরে কয়েক দফায় ব্যাংকের মূল ঋণ শোধ করেন। এরপরও মামলা তুলে নেয়নি ব্যাংক। মামলা তুলতে ব্যাংক থেকে আইনি খরচ বাবদ গ্রাহক দিলসাদ বেগমের কাছে চাওয়া হয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এর মানে ৪ লাখ টাকার ঋণের আইনি খরচ চাওয়া হচ্ছে আড়াই লাখ টাকার বেশি। দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ছোট গ্রাহকদের এমন হয়রানী নিত্যদিনের চিত্র। ক্ষুদ্র উদ্যোগ ছাড়াও ছোট আকারের ব্যক্তিগত ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, গাড়ি-বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ঋণ নিয়েও হয়রানির যেন অন্ত নেই।
সানশাইন এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভুয়া দলিল মর্টগেজ রেখে ২০৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বিশেসায়িত ব্যাংক থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ে, এই দুষ্কর্মের সঙ্গে ওই ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত। এজন্য শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ধারী পরিচালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। নিরুপায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুরো টাকাকে ‘অনাদায়ী’ দেখিয়ে চলেছে।
সম্প্রতি টক অব দ্য কান্ট্রি ছিল ‘নাবিল গ্রæপ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে পর্যাপ্ত নথিপত্র ও জামানত ছাড়াই তিন ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদান। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক দিয়েছে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৫০ কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১ হাজার ২০০ কোটি এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দিয়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি দেখিয়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের দাবি, যথাযথ নিয়মনীতি মেনেই ঋণ দেয়া হয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো থেকে নিয়মনীতির বাইরে বড় অংকের ঋণ বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রæপের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেয়ার পরও এ ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারি কমছে না। এদিকে ভুয়া দলিলের ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি আর ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকের তদারকি কাজে আসছে না। ব্যাংক ঋণের বিপরীতে গ্রাহকদের জমা দেয়া মর্টগেজের সিংহভাগ দলিলপত্রই ভুয়া বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব জাল-জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পরিচালকরা পর্যন্ত জড়িত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব করছেন বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। যদিও সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ দেয়া নিয়ে অনিয়মের খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ঋণ অনিয়মের বিষয়টি তারা ‘মনিটরিং ও সুপারভিশন’ করবে। অভিযোগ রয়েছে, মালিকপক্ষের চাপ ও রাজনৈতিক প্রভাবে এসব ভুয়া ঋণ বিতরণ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এক সময় বড় অংকের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে জানানো বা পূর্ব অনুমতি নেয়ার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে সেটি তুলে দেয়া হয়েছে। কাগজপত্রে নিয়মকানুন বা গাইডলাইন থাকলেও অনেক সময় বিশেষ তদবির বা রাজনৈতিক প্রভাবে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সেসব নিয়ম ঠিকমতো অনুসরণ করা হয় না। বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্ট একটা সমঝোতা বা বোঝাপড়া হয়, তখন সেখানে কোনো নিয়মনীতি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে কোনো গ্রাহককে ঋণ দেয়া বা না দেয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিয়ে থাকে। এ জন্যই প্রতিদিন ভুয়া দলিলে ঋণসহ ভুয়া ঋণ বাড়ছে। ওই ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, গত বছর দেশের একটি বড় শিল্পগোষ্ঠী কয়েকটি ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছে। এক্ষেত্রে জমির দাম দেখানো হয়েছে বাস্তব দামের থেকে কয়েকশ’ গুন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবে হওয়া এ ঋণে কর্মকর্তাদের দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই।
ভুয়া ঋণ ব্যাংকিং খাতকে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ভুয়া ঠিকানা ও অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেয়া দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য ভয়ঙ্কর উদ্বেগজনক। সাধারণ গ্রাহককে ব্যাংক থেকে ন্যূনতম অংকের ঋণ নিতে গেলেও যে পরিমাণ কাগজপত্র দিতে হয়, সেখানে কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা ভুয়া প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে সেটাই প্রশ্ন। একই সঙ্গে অবিলম্বে ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতে ‘প্রকৃত মালিকানার স্বচ্ছতা’ আইন প্রণয়ন এবং আর্থিক লেনদেনে নজরদারি সহায়ক ‘কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডে (সিআরএস)’ যুক্ত হতে সরকারের প্রতি আহŸান জানান।
সূত্র মতে, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ শিল্প এলাকায় জমি নিয়ে জাল-জালিয়াতির মহোৎসব হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে একদাগে কয়েক একর জমি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ভয়ঙ্কর প্রতারণায় নেমেছে একটি চক্র। কখনো ভুয়াদাতায়, কখনো আবার জমির মালিককে না জানিয়েই জাল দলিল করছে তারা। পরবর্তী সময়ে ওই দলিল জামানত রেখেই সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে বিপুল অংকের ঋণ নেয়া হচ্ছে। এসব জমি জামানত নিয়ে বিপাকে পড়ছে ব্যাংক। মামলায় জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন জমির মূল মালিক। আর মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে জালিয়াত চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন। তাই কয়েক বছর ধরে এই এলাকার বন্ধক রেখে ঋণ দিতে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। কিন্তু ব্যাংক পরিচালক ও অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হরহামেশাই জাল বা ভুয়া দলিল দিয়ে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেয়ার ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র মতে, নদী, কবরস্থান ও কিস্তিসহ ৩২৩ বিঘা জমি জামানত রেখে রাজ হাউজিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে আড়াইশ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বেসরকারি একটি ব্যাংক। একইভাবে জাল দলিল দেখিয়ে ঋণ নেয়া হচ্ছে অন্যান্য ব্যাংক থেকেও। সম্পূর্ণ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ঋণ নিয়ে ইয়াসির গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাহের হোসেন বিদেশে পালিয়েছেন। কয়েকটি ব্যাংক থেকে তিনি ৪৮১ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। একইভাবে আরেক ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন কুসুম জাহাজভাঙা শিল্পের নাম ভাঙিয়ে ঋণ নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি চারটি ব্যাংকের ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৩০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলো অর্থঋণ আদালতে মামলাও করেছে। তবে ঋণ নিয়ে বিদেশ পাড়ি জমানোয় তাদের বিরুদ্ধে করার কিছুই থাকছে না ব্যাংকের।
সূত্র জানায়, রিম্যাক্স লিবার্টি সিটি লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানের অনুক‚লে ১৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর করে দ্বিতীয় সারির একটি বেসরকারি ব্যাংক। সাভার এলাকার ছয় দাগে ২১৪ শতাংশ জমির বিপরীতে ওই ঋণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করলে বিষয়টি ধরা পড়ে। তদন্তে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের মালিক মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আগেই বিক্রি করা একটি জমি ‘বন্ধক’ রেখে এ ঋণ নেয়ার পাঁয়তারা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে এই ঋণের নগদায়ন আর হয়নি। একই পদ্ধতি অবলম্বন করে নামিদামি কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছে নামসর্বস্ব কিছু শিল্প গ্রæপ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে ভুয়া দলিলের ফাঁদ পেতে ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। তাদের জমা দেওয়া দলিলাদি যে ভুয়া তা একপর্যায়ে প্রমাণিত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে, যেসব জমাকৃত দলিলপত্রে যেই জমির আকার ও বিবরণ রয়েছে বাস্তবে সেই জমি অস্তিত্বহীন এবং যেই কোম্পানিকে ঋণ দেয়া হলো, ঠিকানায় গিয়ে কোম্পানি তো দূরের কথা, কোম্পানি বা ব্যক্তির নামে কোনো সাইনবোর্ড পর্যন্ত পাওয়া যায় না। এমনকি মর্টগেজ হিসেবে নেয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকও ওইসব জমিতে দায়বদ্ধতার সানইবোর্ড দিচ্ছে না। ফলে একই জমি দেখিয়ে বারবার ঋণ জালিয়াতি করার সুযোগ পায় প্রতারকরা। এ ধরনের ঘটনা যেন বারবার না ঘটে এজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তারা এসব বিষয় ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করেই ঋণ অনুমোদন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকগুলো বলছে, তাদের প্রয়োজনীয়সংখ্যক লোকবল না থাকায় অনেক সময় সরেজমিন পরিদর্শন করতে পারছে না। ফলে প্রতারক চক্রের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না নামিদামি ব্যাংকও। সরকারি-বেসরকারি নতুন-পুরান সব ধরনের ব্যাংকেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। তবে কয়েক বছর ধরে সরেজমিন পরিদর্শনের হার বাড়ানো হয়েছে। এমন কি কোনো কোনো এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন না করে ঋণও দেয়া হচ্ছে না। যদিও কর্মকর্তাদেরও অনেক সময় কিছু করার থাকে না। ব্যাংক পরিচালকদের চাপে বড় অঙ্কের ঋণ জালিয়াতি রোধ করার চেষ্টা করেও কর্মকর্তাদের পুরস্কারের পরিবর্তে পেতে হয় শাস্তি।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকে কয়েক বছর আগে তৎকালীন চেয়ারম্যান এ কে এম সাহিদ রেজার যোগসাজসে বড় অঙ্কের ঋণ জালিয়াতি রোধ করার চেষ্টা করে পুরস্কৃত হওয়ার পরিবর্তে ‘শাস্তি’ পেতে হয় চট্টগ্রামের জুবলী রোডের শাখা ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলামকে। সাহিদ রেজার নির্দেশে একজন মেধাবী ও দক্ষ শাখা ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলামকে প্রধান কার্যালয়ে ক্লোজ করা হয় এবং রাঙ্গামাটি শাখার ব্যবস্থাপককে জুবলী রোড শাখায় দেয়া হয়। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি দুষ্টুচক্রের সাথে আপোষ না করে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে অন্য একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে যোগ দেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা অনেক। তবে অতিস¤প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি কঠোর হওয়ায় কিছুটা কমে এসেছে। কিন্তু প্রতারকরাও ভিন্নপন্থা অবলম্বন করছে। তাই ব্যাংকগুলোর নিজেদের পরিদর্শন ও সুপারভিশন বিভাগগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। সর্বোপরি, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন