বিএনপির কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেয় না দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।নির্বাচনের আগে পর্যন্ত রাজপথে থাকার কথা পুর্নব্যক্ত করেন। রাজপথ ছেড়ে বিএনপি আবারও ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ করবে- এমন শঙ্কা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিদিন কর্মসূচি রেখে নেতাকর্মীদের মাঠে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশও দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চার দিনের কর্মসূচির নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নেই। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকব। আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি আছে। গণসংযোগ, শীতবস্ত্র বিতরণ সব কর্মসূচি আছে। এসময় রাজপথ না ছাড়ার আহŸান জানিয়ে তিনি সতর্ক পাহারায় থেকে প্রতিদিন কর্মসূচি রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহŸান জানান।
তিনি বলেন, কোনো অপশশক্তিতে আগুন নিয়ে বাংলার মাটিতে খেলতে দেব না। তাদের খালি মাঠ দিয়ে দেব? পরিবহন ভাঙচুর করবে? বিদ্যুৎ অফিস জ্বালিয়ে দেবে? তারা রেল স্টেশন, রেললাইন পুড়িয়ে দেবে? রাস্তার পাশের গাছ কেটে দেবে? সেই সুযোগ তাদের দেব না। বিএনপি গণতন্ত্রের পথে কখনও চলে না। তারা যে পথে আন্দোলন করতে চায়, তাদের সেই সা¤প্রদায়িক কায়দা, জঙ্গিবাদী কায়দা, সন্ত্রাসী কায়দার জবাব দেওয়া হবে।
এসময় মুখ চিনে নেতা না বানানোর আহŸান জানিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বশীল নেতাদেরকে উদ্দেশ্েয আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন করছেন না? কতদিন আগে সম্মেলন করলেন। কিছু লোক বলে তাদের কোনো পদ নেই। সেজন্য আরম্ভ করতে পারছি না, কাজ করতে পারছি না। পকেটের লোক ঢুকাবেন না, আত্মীয়স্বজন দিয়ে কমিটি করা যাবে না। কমিটি করতে হবে দলের ত্যাগী, দু:সময়ে যারা ছিল, সুখে-দু:খে যারা দলে ছিল তাদের দিয়ে কমিটি করতে হবে। দেশে একমাত্র আওয়ামী লীগেই গণতন্ত্রের চর্চা হয় দাবি করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব কবে আপনি সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আপনাদের মনে আছে? এর মধ্যে আমরা তিনটি সম্মেলন করে ফেলেছি। সময়ের আগেই আমাদের সম্মেলন হয়েছে। জেলা, উপজেলা পর্যায়েও বেশির ভাগ সম্মেলন আমরা করে ফেলেছি। কিন্তু বিএনপির কোনো সম্মেলন হয়নি। দেশে ২১ বছর গণতন্ত্র ছিল না। কাদের বলেন, আমরা ৫০ বছরের স্বাধীনতার পুরোটা আমরা গণতন্ত্রে থাকতে পারিনি। সামরিক, আধা সামরিক আর খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল কেমন গণতন্ত্র ছিল সবাই দেখেছেন। পঁচাত্তরের পরে আওয়ামী লীগ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তারা বাড়িতে গিয়ে দেখেন গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন।
এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের ইতিহাস জানতে এবং পড়াশোনা করার পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকা পড়ার আহŸান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া অপপ্রচারের জবাব দিতে সেল গঠনেরও নির্দেশ দেন। সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারই বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ্রআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে মেরে জানাজাও দিয়ে দিয়েছে। কোনো দল এটা করে। এটা কারা করেছে সবাই দেখেছে। এটা তারাই করে যারা সা¤প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক এবং নষ্ট রাজনীতির ধারক-বাহক।” এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন