শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সিংগাইরে ফুলচাষিদের মুখে হাসি

প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে ডি এম রিয়াজুল ইসলাম : ফুল একটি সার্বজনীন উপহার। সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল। ইহা সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব দান। পৃথিবীতে প্রায় আড়াই লক্ষ প্রজাতির ফুল রয়েছে। আজ থেকে ১৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ফুল গাছের উদ্ভব ঘটে।
উদ্ভিদ জগতে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে। বংশ বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকায়। এদের মধ্যে থেকে কিছুসংখ্যক ফুল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আবাদ হচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষেতে-খামারে। উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তালেবপুর, বায়রা, জয়মন্টপ, সায়েস্থা ও ধল্লাতে রয়েছে মাঠের পর মাঠ ফুলের আবাদ। এ অঞ্চলের প্রায় দেড় থেকে ২শ’ বিঘা জমিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের আবাদ। এদের মধ্যে নানা রঙের গোলাপ, গ্লাডিওলার্স, গাঁদা, বেলি, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, লিলি, টিউলিপ, ডালিয়া, চম্পা, হাসনাহেনা, শিউলি, ড্যাফেডিল, চন্দ্রমল্লিকা, লুপিন, ডায়ান্থাস, নিংগ্লোরি র‌্যাফেলেসিয়া, মাধবী লতা, নাগালিঙ্যাম, অর্কিড ফুলের চাহিদা বেশি হওয়ায় এর আবাদ তুলনামূলকভাবে বেশি হচ্ছে। পৌর এলাকার ফুলচাষি ওয়াশিম বলেন, আমাদের মানিকগঞ্জ অঞ্চলের মাটি যেকোনো ফুল চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় আমাদের তেমন কীটনাশক ও সেচ দিতে হয় না। দোআঁশ প্রকৃতির মাটিতে যেকোনো বীজ ২-৪ দিন ফেলে রাখলেই সহসাই গজিয়ে যায়। এতে করে আমাদের লোকসানেরও তেমন ভয় থাকে না। তবে অতি বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে সেক্ষেত্রে একটু সমস্যা হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের এ অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই আমরা ফুলচাষিরা ফুল নিয়ে ঢাকায় যাই ফুল বিক্রির জন্য। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় খুব অল্প সময়েই ঢাকায় পৌঁছাতে পারি। ধল্লা ইউনিয়নের ফুলচাষি হুসেন ও রাজা বলেন, অন্যান্য ফুলের তুলনায় গ্লাডিওলার্স ফুলের চাহিদা একটু বেশিই। ৭০ দিনে এর ফলন পাওয়া যায়। ঝুঁকিও কম থাকে। দামও ভালোই। একটি স্টিক ২০/২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। বিয়ে জন্মদিন, ভালোবাসা দিবস, জাতীয় শোক দিবস, ১৬ই ডিসেম্বর, ২১ শে ফেব্রুয়ারি এই বিশেষ দিনগুলোর অপেক্ষায় আমরা থাকি। কারণ, এসব দিনে ফুলের চাহিদা থাকে খুব বেশি বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায়। তবে সারা বছরই কম-বেশি চাহিদা থাকে গাঁদা, গোলাপ ও গ্লাডিওলার্স এই তিন প্রজাতির ফুলের চাহিদা সব ফুলের শীর্ষে। ফুলচাষি মতি মিয়া বলেন, এক বিঘা ফুলের আবাদের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার উপরে লাভ হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, যদি সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাই তাহলে আমরা আরও ভালো করতে পারবো। তিনি জানান, যদি কোনো বেকার যুবক শুরুতেই ১ বিঘা জমি নিয়ে ফুল চাষ শুরু করেন তাহলে ৩ বছরের মাথায় তার ফুল চাষের জমি হবে ১০ বিঘার উপরে। এতে দেশের বেকারত্ব দূর হবে। অন্যদিকে এ ফুল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। তিনি শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, সত্যিই ফুল চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। এতে কোনো সন্দেহ নেই।


প্রধান বিচারপতির মানহানির অভিযোগে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহীর বিরুদ্ধে মামলা
মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হাসহ সুপ্রিম কোর্ট বিভাগকে হেয় প্রতিপন্ন ও সুনাম নষ্ট করে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় প্রকাশ করায় মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পত্রিকার সম্পাদক আতিকউল্লাহ খাঁন মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে মামলা দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মুমিত চৌধুরী। বাংলাদেশ দ-বিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারায় মানহানির মামলা করলে ১নং আমলি আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাহাউদ্দিন কাজী সমনজারি করেন। আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলায় সাক্ষী করা হয় মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তজম্মুল হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মছব্বির, সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শান্তি পদ ঘোষ, অ্যাডভোকেট রমাকান্ত দাশ গুপ্ত, মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ কামারেল আহমদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ডাডলী ডেরিক প্রেন্টিস, সাবেক সাধারণ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইয়েদ মইন উদ্দিন জুনেল, সাবেক সাধারণ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ.এস.এম আজাদুর রহমানসহ ১৫ জন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে গত ৪/২/২০১৬ তারিখে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় কলামে অবসরের পর রায় লেখা এজেন্ডা খালেদার বাস্তবায়নের দায় এখন নতুন কাঁধে এ শিরোনামে প্রকাশিত “অখ্যাত অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের কেউ ১৪ দিন নদী সাঁতরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। এমনকি শাহীন মাহমুদের কথা ভাবুন না ১৬ বছরের একটি মেয়ে ঢাকা থেকে একাকী বেরিয়ে আগরতলা পৌঁছেছেন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে। আর বিপরীতে হবিগঞ্জ থেকে মাত্র চার মাইল দূরে ভারতীয় সীমান্ত সেখানে না গিয়ে ২২ বছরের মি. সিনহা গোলাম আযমের সৃষ্ট শান্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই কারা এদেশের মানুষ আর কারা মুনতাসীর মামুনের ভাষায় ‘আটকেপড়া পাকিস্তানী’ (বাস্তবে আইএসআইয়ের চর) এ দেশে সে প্রমাণ ১৯৭১ সালে হয়ে গেছে।” এ ধরনের লেখায় প্রধান বিচারপ্রতি ও সুপ্রিম কোর্টকে অবমাননা করায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন