সম্প্রতি Gmail সৃষ্টিকর্তা পল বুছেইত টুইট করে জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক টুল ChatGPT আগামী দুই বছরের মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট Google-কে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। অর্থাৎ গুগলের সবথেকে লাভজনক অ্যাপ্লিকেশনটি শীঘ্রই Open AI-এর টুলটি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। -ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং
গলের অস্তিত্ব সঙ্কট ডেকে আনতে পারে চ্যাটজিপিটি নামক AI টুল।
তাহলে কি সার্চ ইঞ্জিন Google-এর একচেটিয়া বাজার কায়েম করার দিন শেষ হতে চলল? টেকজায়ান্টের মনোপলি শেষ করে দিতে চলেছে ChatGPT? Google-এর মতো বিশ্বের এক নম্বর সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টেরও চিন্তা, তাদের জায়গা দখল করতে পারে AI চ্যাটবটটি। আর সেই ভাবনা যে এক্কেবারে অযৌক্তিক নয়, তা পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে দিলেন Gmail-এর সৃষ্টিকর্তা পল বুছেইত। সম্প্রতি তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক টুলটি আগামী দুই বছরের মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট Google-কে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। অর্থাৎ গুগলের সবথেকে লাভজনক অ্যাপ্লিকেশনটি শীঘ্রই Open AI-এর টুলটি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। এই AI টুল নিয়ে চতুর্দিকে চর্চার কারণ মূলত তার অভাবনীয় কিছু দক্ষতা নিয়ে। সে কঠিন থেকে কঠিনতম পরীক্ষা দিতে পারে, জটিল প্রবন্ধ থেকে শুরু করে কবিতা, জোকস সবই রচনা করতে পারে সে, তার মার্কেটিং আইডিয়াটাও MBA প্রফেসরের থেকেও কয়েকগুণ বেশি শক্তিমান— চ্যাটজিপিটি এত সব কাজ করতে পারে।
টুইটে Gmail-এর সৃষ্টিকর্তা পল বুছেইত লিখছেন, “বছর দুয়েকের মধ্যেই Google সম্পূর্ণভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। গুগলের সার্চ ইঞ্জিন রেজ়াল্ট পেজটি মুছে ফেলবে AI টুলটি, যেখানে তারা সবথেকে বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করবে। এমনকি তারাও যদি AI নিয়ে আসে, তাহলেও তাদের ব্যবসার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি ধ্বংস না করে AI নিয়ে কাজ করতে পারবে না। আমার ধারণা অনুযায়ী, ব্রাউজ়ারের URL বা সার্চ বারটি AI দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এই AI আমার-আপনার প্রশ্ন অটোকমপ্লিট করে, যখন কিছু টাইপ করছি বা কোনও কিছুর সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি (ওয়েবসাইট বা পণ্যের লিঙ্ক হতে পারে)।”
আর একটু বিশদে ব্যাখ্যা করে বুছেইতের বক্তব্য, “ChatGPT সার্চ ইঞ্জিনগুলির সঙ্গে তাই করবে, যা Google এতদিন ধরে Yellow Pages (তথ্যের ডায়েরি, যা গুগল সার্চ ইঞ্জিন আসার অনেক আগে সক্রিয় ছিল)-এর সঙ্গে করে আসছিল। আর সেই ভাবেই এই AI সার্চ ইঞ্জিন রেজ়াল্ট পেজটিকে মুছে ফেলবে, যেখান থেকে গুগল তাদের সবথেকে বেশি পরিমাণ অর্থ রোজগার করে।” পাশাপাশি তিনি এ-ও যোগ করলেন, এখন Google-ও যদি এরকম চ্যাটজিপিটি-র মতোই একই OpenAI-ভিত্তিক AI মডেল নিয়ে আসে, তার সম্পূর্ণ প্রয়োগ কখনই করতে পারবে না, যদি না তাদের চিরাচরিত সার্চ ইঞ্জিন ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে।
বিশ্বের সবথেকে নামজাদা B-School হিসেবে গণ্য করা হয় যে কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল পেনসিলভেনিয়ার Wharton School of University। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর এই AI টুল দ্বারা MBA পরীক্ষা করে দেখেছেন, সব উত্তর সঠিক দিতে সক্ষম হয়েছে ChatGPT। শুধু ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষাই নয়। US Law স্কুলে সাংবিধানিক আইন থেকে শুরু করে কর, নির্যাতন সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনি বিষয়ে প্রবন্ধও লিখতে পেরেছে সে। আর Google ঠিক এই সময়েই প্রায় 20টিরও বেশি AI প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে তোড়জোড় শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, শীঘ্রই হয়তো তারাও তাদের নিজস্ব ChatGPT ভার্সন নিয়ে হাজির হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন