শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতের তৈরি চোখের ওষুধে সংক্রমিত আমেরিকা! মৃত ১, আক্রান্ত ৫৫

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিশ্বমঞ্চে ফের একবার ভারতের আসল চেহারা তুলে ধরলো দেশটির গ্লোবাল ফার্মা ফ্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি সংস্থা। কাশির ওষুধের পর এবার কাঠগড়ায় ভারতের তৈরি চোখের ওষুধ। ভারতীয় কোম্পানির তৈরি একটি আইড্রপ থেকে চোখের মারাত্মক সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগ ছাড়াও দৃষ্টি হারানোর অভিযোগ উঠেছে। অবস্থা ভয়াবহ! এ আইড্রপ ব্যবহার করে আমেরিকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ চোখের ওষুধ ব্যবহার করে আরো ৫৫ জন আক্রান্ত হন। খবর প্রকাশ্যে আসতেই মার্কিন বাজার থেকে সেই আই ড্রপ তুলে নিয়েছে এ ভারতীয় সংস্থা। জানা গেছে, কোম্পানির তৈরি চোখের ড্রপ ব্যবহার করার পরই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন আমেরিকার অনেক বাসিন্দা।

তবে ভারতীয় কোম্পানি ওসুধ বাজার থেকে তুলে নিলেও লাভ হয়নি। কারণ ইতোমধ্যেই এ ওষুধটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ ওষুধটির উপাদানগুলো যাচাই করে দেখছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ আই ড্রপ থেকে চোখে সিউডোমোনাস অ্যারুগিনোসা নামে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হচ্ছে। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া সাধারণত ফুসফুস, রক্তে সংক্রমণ ছড়ায়। তবে ওই ওষুধটি থেকে চোখেও এ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হচ্ছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়াটি ক্রমেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। মানে হল, অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েও এ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সারানো সম্ভব নয়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে সম্প্রতি ভারতীয় সংস্থার চোখের ড্রপের এ ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, গ্লোবাল ফার্মা প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি আর্টিফিসিয়াল টিয়ার্স নামে ওষুধটি মার্কিন বাজারে সহজলভ্য। বহু আমেরিকান এটি ব্যবহার করে থাকেন। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। সম্প্রতি এ আই ড্রপ ব্যবহারে এক ব্যক্তির চোখে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়। এখানেই শেষ নয়, আরো পাঁচজন মার্কিন নাগরিক এ ভারতীয় আই ড্রপটি ব্যবহারের জেরে দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণরূপে হারিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে।

খবর প্রকাশ্যে আসতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে ভারতীয় সংস্থা। সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘অসুস্থ মানুষদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আর্টিফিসিয়াল টিয়ার্স আই ড্রপটি বাজার থেকে তুলে নিচ্ছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমাদের সংস্থা যথেষ্ট পরিমাণে সহযোগিতা করছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছি’।

ভারতের তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে উজবেকিস্তান ও আফ্রিকার গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। নয়ডার দুটি ওষুধ কোম্পানি ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে সেই ফার্মা কোম্পানির মালিকদের। এবার ভারতের তৈরি চোখের ওষুধ নিয়ে অভিযোগ উঠল। যা দেশটির আসল চেহারা প্রকাশ করলো। সূত্র : জি নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন