আইন ব্যবসা আর চক বাজারের ব্যবসা কি এক? আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী আইনজীবীদের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন রেখেছেন হাইকোর্ট। আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারিত্বমূলক ও আক্রমণাত্মক আচরণের অভিযোগ বিষয়ে এ প্রশ্ন তোলেন আদালত। উত্তরে অবশ্য আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ‘না’ সূচক জবাব আসে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ উপরোক্ত প্রশ্ন রাখেন। এ বিষয়ক পরবর্তী শুনানি আগামি ২৩ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন অসদাচরণের দায়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তিন আইনজীবীকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।
গতকাল তিন আইনজীবীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন ফকির, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে সকালে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসদাচরণের ব্যাখ্যা দিতে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো: মোমতাজুল হক, অ্যাডভোকেট মো: আজহারুল ইসলাম, ফেরদৌস আলম হাইকোর্টে হাজির হন। তারা ওই ঘটনার জন্য হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
গত ২৫ জানুয়ারি আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারিত্বমূলক, আক্রমণাত্মক ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ব্যাখ্যা দিতে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দকে তলব করেন হাইকোর্ট।
নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রাজজ) গোলাম সারোয়ারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারি একই আদালত এ আদেশ দেন। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন