শেরপুরের গারো পাহাড়ে রঙিন ফুলকপি চাষে বাজিমাত করেছেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। প্রথম আবাদেই বাম্পার ফলন ও ভালো বাজারমূল্যে বেজায় খুশি তিনি। সফলতায় রঙিন কপি চাষে আগ্রহী অনেক কৃষক। রঙিন ফুলকপি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন, ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি.ই.কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে। সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার বনাগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম রঙিন কপি চাষে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ১৫ শতক জমিতে চারাসহ খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। কীটনাশক ও সারবিহীন জৈবসার ব্যবহারে তিনি রঙিন কপি চাষে লাভবান। রোপণের ৭০-৮০ দিনেই বাগানে এসেছে রঙিন ফুলকপি। বিক্রিও শুরু করেছেন।
এ চাষি বলেন, রঙিন ফুলকপি দেখতে-খেতে ভিড় করছেন কৃষক ও সাধারণ মানুষ। নিচ্ছেন পরামর্শ, কেউ তুলছেন সেলফি। বাজারে নিয়ে যেতে না যেতেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ভালো ফলনে আগামীতে চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন অন্য চাষিরা।
প্রতাবনগরের কৃষক ডা. আব্দুল বারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কৃষক আমিনুল ইসলাম বাদশা, প্রতাবনগরের কৃষক আলহাজ রেজাউর রহমান মাস্টার, সাড়িকালিনগরের আলহাজ শরীফউদ্দিন সরকার ও শালচুড়ার কৃষক সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, শফিকুলের রঙিন ফুলকপি চাষে ফলন ও সফলতা দেখে তারা ও আগামীতে রঙিন ফুলকপির চাষ করবেন।
শেরপুর কৃষি বিভাগের খামার বাড়ির উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রঙিন’ ফুলকপি দেশে চাষ শুরু হয় ২০২১ সালে। ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সবজি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষে চমক দেখিয়েছেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। আমি ওখানে চাকরিরত থাকাবস্থায় দেখেছি, শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন শাক-সবজি চাষে ব্যাপক আগ্রহী। নতুন করে রঙিন ফুলকপি চাষে লাভের মুখ দেখছেন। দেখাদেখি অনেক কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নতুন উদ্যোক্তা এগিয়ে এলে কৃষি বিভাগ সহয়োগিতা করবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, রঙিন ফুলকপি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী সবজি। এই সবজি চাষে সফলতায় আমি আনন্দিত ও গর্বিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন