সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রশ্ন : আমরা জানি সূর্যোদয় থেকে ৩০ মিনিট নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর দেখা গেল সকাল হয়ে গেছে। তাহলে আমি নামাজ পড়তে পারবো কি না? উক্ত নামাজ কি কাজা হবে ?

উত্তর : সূর্যোদয় থেকে ৩০ মিনিট কথাটি ঠিক নয়। কথাটি হচ্ছে, ঠিক সূর্যোদয়ের মুহূর্ত। এসময় নামাজ পড়া নিষেধ। যার সময় ১৬-১৭ মিনিট হয়ে থাকে। এর আগে নামাজ পড়তে পারেন। এটি সঠিক সময়। সূর্যোদয়ের মুহূর্তে পড়বেন না। এরপর ফজর পড়বেন কাযা হিসেবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে ঘুমে বিভোর থেকে নামাজের সময় পার হয়ে যাওয়া মানুষের অনুতাপের নামাজ এ সময়ও মূল ওয়াক্তের নামাজের মত কবুল করতে পারেন। হাদীসে এমন ইশারাও আছে।

প্রশ্ন : প্র¯্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে?

উত্তর : দু’য়েক ফোঁটা বলতে আমরা কি বুঝবো? পরিমাণটা বলে রাখি, দু’য়েক ফোঁটা পেশাব বের হলে অজু ভেঙ্গে যায়। অজু করতে হবে। এবার প্রশ্ন আসে কতটুকু পেশাবে কাপড় নাপাক হয়? একটি সিকি পয়সা বা এরচেয়ে কম জায়গা হলে কোনোরকম নামাজ হয়ে যাবে। এরবেশি হলে নাপাকির জায়গাটি ধুতে হবে। এক ফোঁটা পেশাব সম্ভবত সিকি কয়েনের পরিমাণের মধ্যে থাকে। কিন্তু দু’য়েক ফোঁটা থাকে না। এসব খুব সাবধানে বিবেচনা করে নিবেন। মাসআলাটি সতর্কতার আর সিদ্ধান্ত বিশ্বস্ত বিবেকের।

প্রশ্ন : আমার আব্বা গত কয়েক দিন আগে মারা গেছেন, এক দোকানদার উনার কাছে কিছু টাকা পেত, জীবিত অবস্থায় টাকা দিয়ে যেতে পারেন নি, আমি সস্তান হিসাবে কি ওই টাকা গুলো দিয়ে দিলে আমার আব্বা ঋণমুক্ত হবে? ওই দোকানদার এখন টাকাগুলো নিতে চাচ্ছেনা, সে বলতেছে আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি টাকা দেওয়া লাগবে না, আশা করি আমার প্রশ্নের জবাব দিবেন।

উত্তর : সন্তান হিসেবে আপনার উচিত পিতার পাওনা পরিশোধ করে দেওয়া। এ বিষয়ে আপনার আন্তরিক চেষ্টার ত্রুটি করবেন না। এখন পাওনাদার যদি নিজের থেকে আপনার আব্বাকে ক্ষমা করে দেন, পাওনা টাকা না নেন, তাহলে আপনার আব্বার কোনো দায় থাকবে না। আপনিও তার এ ইহসান ও সৌজন্য মেনে নিন। এ নিয়ে জোর জবরদস্তি করা বা দিতেই হবে বলে মনে করা বাড়াবাড়ি। যদি কোনো মন্দ দিক এখানে লুকিয়ে না থাকে, তাহলে আপনি এ টাকা না দিলেও চলবে। যিনি দাবী ছেড়ে দিতে চান, তাকে দাবী ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ দিন।

প্রশ্ন : নামাজে তাশাহুদ পড়ার সময় আঙ্গুল তুলতে হয় কেন? আঙ্গুল তোলা কি?

উত্তর : নামাজ সম্পর্কিত হাদীসে এ বিষয়টি আছে। তাশাহ্হুদ মূলত সাক্ষী। সাক্ষী দেওয়ার আদি বিধান হলো এ (শাহাদত) আঙ্গুল উঠিয়ে কথাটি বলা। নবী করিম সা. ও সাহাবায়ে কেরাম নামাজে এমন করতেন। এটি সর্বসম্মতিক্রমে মুস্তাহসান। সুন্নত আমল হিসাবে এর বিভিন্ন পদ্ধতি মুসলিম বিধানে রয়েছে। সবাই নিজ নিজ আস্থাভাজন মুরব্বী আলেমের কাছ থেকে এর সঠিক প্রক্রিয়াটি জেনে নিবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন