সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের স্বাভাবিক আচরণ ও গতিবিধি বদলে যাচ্ছে। হিংস্র এ প্রাণী বরাবরই লোকালয় এড়িয়ে চলে। আক্রান্ত না হলে মানুষকে আক্রমন করে না। যথাসম্ভব বনের গভীরেই বাস করে। সেখানেই শিকার, প্রজনন ও বংশবিস্তার করে থাকে। স্বাভাবিক এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন লোকালয়ে বাঘ প্রবেশ করছে। বিড়াল প্রজাতির নিশাচর এ প্রাণীটি সারারাত ঘুরে বেড়াচ্ছে গ্রামের পথ ধরে। কখনো আক্রমণ করছে বনজীবীদের উপর।
এখন পর্যন্ত বাঘের এমন আচরণের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করে বের করতে পারেনি বনবিভাগ। যদিও বনবিভাগ বলছে, খাদ্যের অভাবে এমনটা হতে পারে। প্রজনন মৌসুমেও পথ ভুল করে বাঘ লোকালয়ে আসতে পারে। তবে, বাঘ গবেষকদের বক্তব্য, বনবিভাগের বক্তব্যগুলো সবই অনুমান নির্ভর। পরিবেশগত নানা কারণে সুন্দরবন ক্রমশ: বাঘের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে, প্রকৃতির সাথে খাপ খাওয়াতে বাঘ বৈশিষ্ঠ্য বদলাচ্ছে।
গত ৩ ফেব্রæয়ারি ও ৪ ফেব্রæয়ারি পরপর দুই দিন সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিস চত্বরের চারপাশে তিনটি বাঘ ঘুরে বেড়ায়।
চান্দেশ্বর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক জানান, গত ৩ ফেব্রæয়ারি দুপুর ২টার দিকে তিনটি বাঘ আমাদের অফিস চত্বরে ঢুকে পড়ে। পরদিন দুপুর পর্যন্ত বাঘগুলো অফিসের আশপাশে ঘোরাঘুর করে। বাঘগুলোকে আমরা কয়েকবার দেখেছি। বাঘগুলো অফিসের দক্ষিণ পাশে নদী তীরে অবস্থান করে। আমরাও সতর্ক অবস্থানে থেকে বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করি। বাঘের উপস্থিতি দেখে বানর হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
গত ৭ জানুয়ারি রাতে সুন্দরবন থেকে একটি বাঘ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাঘটি ওই গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিচরণ শেষে আবার বনে ফিরে যায়। বাঘের পায়ের অসংখ্য ছাপ দেখা যায় গ্রামের ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, নদীর চরে। পরদিন ৮ জানুয়ারি সকালে বাঘের পায়ের ছাপ নজরে আসে গ্রামবাসীর। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক দেখা দেয় জনমনে। এর তিন মাস আগে আরও একটি বাঘ পশ্চিম রাজাপুর গ্রামে এসেছিল। সারা রাত বাঘটি লোকালয়ে ঘুরে সকালে বনে ফিরে যায়। গত ১১ জানুয়ারি রাতে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের শুকিয়ে যাওয়া ভোলা নদী পার হয়ে একটি বাঘ সোনাতলা গ্রামে প্রবেশ করে। বাঘটির তাজা পায়ের ছাপ পরদিন এলাকাবাসী দেখতে পায়।
সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে গরু আনতে গিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে বাঘের আক্রমণের শিকার হন মো. ফজলু গাজী নামের এক কৃষক। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের উত্তর রাজাপুর গ্রাম সংলগ্ন বনের কাছে গরু আনতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হন তিনি। তার ডান পায়ে ক্ষত রয়েছে। তিনি শরণখোলার উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাঘের আক্রমণ সম্পর্কে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, ‘বনের মধ্যে যেতেই গরু পাই। পিছন দিয়ে হাক দিলে গরু বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এর মধ্যে টের পাই, পিছন দিক থেকে কি যে দৌঁড়ে আসছে। পিছন ফিরে বাঘ দেখে আমি আমি চিৎকার শুরু করি। তখন সামনের খালে দুই নৌকায় থাকা দশ বারো জন লোকও ডাক চিৎকার শুরু করে। আমার দিকে দৌঁড়ে আসে, এর মধ্যে বাঘে আমার একটা পা কামড়িয়ে ধরে। নৌকার লোকজন দৌঁড়ে আসলে বাঘ আমাকে ছেড়ে চলে যায়।
বাঘ গবেষকদের মতে, আচরণ ও গতিবিধি অনুযায়ী বাঘ সাধারণত লোকালয়ে আসে না। আক্রান্ত না হলে মানুষকে আক্রমন করে না। ইদানিং সুন্দরবন এলাকার পানি লবণাক্ত হওয়ায় মিঠা পানির পুকুরে বাঘ প্রায়ই পানি খেতে আসছে। শুধু বাঘ নয়; হরিণ, বানর সহ অন্যান্য পশুপাখি পানি খেয়ে আবার বনের দিকে চলে যায়। কিন্তু সম্প্রতি চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিসের পুকুরে তিনটি বাঘ পানি খেতে এসে দীর্ঘ সময় সেখানেই ঘুরে বেড়ায়। বাঘের এই লম্বা সময় বিচরণ অস্বাভাবিক ঘটনা। নভেম্বর-এপ্রিল এই ৬ মাস বাঘের প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে বাঘ জোড়া বেঁধে নিরাপদ স্থান খুঁজতে থাকে। তাদের এই মিলনের সময়কালীন পুরুষ ও স্ত্রী বাঘ এক জায়গায় আসে। এ ছাড়া তারা নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করে। চান্দেশ্বর এলাকার বাঘ তিনটির দুটি বাঘই ছিল অল্পবয়স্ক। বাঘ দুটির বয়স ছিল এক থেকে দেড় বছর। কিছুদিন পরেই এরা প্রাপ্তবয়স্ক হবে। তৃতীয় বাঘটি সম্ভবত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা স্ত্রী বাঘ। তাই প্রজননের জন্য বাঘ নিরাপদ স্থান মনে করে ফরেস্ট অফিসের কাছে আসেনি।
বাঘ আসার পিছনে অনেক কারণের একটি হতে পারে, বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘ গণনা চলছে। বাঘ গণনার সময় বাঘকে আকৃষ্ট করতে এক ধরনের সুগন্ধী ব্যবহার করা হয়। মূলত বাঘ সুগন্ধির ঘ্রাণ শুঁকে ক্যামেরার আশেপাশে আসে। এ কারণেও বাঘ আসতে পারে। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বাঘ স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করে। এই বয়সের বাঘ প্রচÐ কৌত‚হলী হয়। খুব সম্ভবত ওই সময়ে এরা আশেপাশে কোনো ঘ্রাণ বা অন্য কোনো কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে একই জায়গায় অনেকক্ষণ অবস্থান করেছিল। বাঘ শিকার করার পর বিশ্রাম নেয় ও পানি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় পাশের পুকুরের আশেপাশে অবস্থান নিয়ে বাঘ নিজেদের মতো সময় কাটায়। মানুষ যেমন নিজেদের পছন্দের জায়গায় সময় কাটাতে ভালোবাসে, বাঘের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়। বাঘের কোনো জায়গা পছন্দ হলে তারা সেই জায়গায় অনেক সময় ধরে বিচরণ করে। এমনকি অনেক সময় নিজেদের বিচরণ সীমা নির্ধারণের জন্যও এমন আচরণ করে থাকে বাঘ। অপ্রাপ্তবয়স্ক বাঘ নিজেদের বিচরণসীমা নির্ধারণের জন্য জায়গা খুঁজে বেড়ায়। যেহেতু দুটি বাঘ অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল তাই এ সময়টাতে মা বাঘ থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের মতো ঘোরাফেরা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা যায়। আবার বনের ভিতরে বাঘের বিচরণ এলাকা কমে যাওয়া কিংবা বাঘের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের গবেষকেরা বলছেন, একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ও তিনটি নারী বাঘের স্বাভাবিক বিচরণের জন্য ৬০ বর্গকিলোমিটার জায়গা প্রয়োজন। সে হিসেবে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘ থাকার কথা ২২০ থেকে ২৫০টি। অথচ ক্যামেরা ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে ২০১৫ সালের বাঘ শুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে, বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৪টি। তার মধ্যে পূর্ণবয়স্ক ৬৩টি, ১৮টি ১২ থেকে ১৪ মাস বয়সী এবং ৩৩ টি ব্যাঘ্রশাবক।
বন বিভাগের তথ্য মতে, সাধারণত একটি বনে মোট বাঘের মধ্যে পুরুষ বাঘ থাকে এক চতুর্থাংশ। সর্বশেষ বাঘ শুমারি অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। এতে করে এই বনে ৩০টির মতো পুরুষ বাঘ থাকার কথা।
বাঘের বিচরণের জন্য কত এলাকা প্রয়োজন এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লায়ন্স ডট ওআরজি’-তে বলা হয়েছে একটি পুরুষ বাঘের জন্য কমপক্ষে ৬০ থেকে ১০০ বর্গ কিলোমিটার বনভ‚মি প্রয়োজন। অন্যদিকে নারী বাঘের জন্য দরকার ২৯ বর্গকিলোমিটার। বাঘ বিষয়ক আরও কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে একই ধরনের তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে বনে বাঘের সংখ্যা নির্ভর করবে খাদ্যের প্রতুলতার ওপর। বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ। এর পাশাপাশি শূকর ও অন্যান্য প্রাণীও খেয়ে থাকে বাঘ। তাই বাঘের সংখ্যা কত হবে তা চ‚ড়ান্তভাবে খাদ্যের জোগানের উপর নির্ভরশীল। যদি সুন্দরবনে পর্যাপ্ত হরিণ না থাকে তবে জায়গা থাকলেও বাঘ থাকবে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় সুন্দরবনের বাঘের এসব অনন্য ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য উঠে এসেছে। বাঘের ৭৮ শতাংশ খাবার হচ্ছে হরিণ। যেখানে বাঘ বড় প্রাণী ছাড়া শিকার করে না, সেখানে সুন্দরবনে জীবিকার তাগিদে বাঘ শুকর, বানর এমনকি মাঝে মধ্যে মাছ ও কাঁকড়া খায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘের যে পরিমাণ খাবার আছে, তাতে সর্বোচ্চ ১২০ থেকে ১৩০টি বাঘ থাকতে পারবে। কারণ জায়গা থাকলেও খাবার না থাকায় বাঘের সংখ্যা কমে আসবে।
বন্যপ্রাণী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের (ডবিøউডবিøউএফ) হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ২০ হাজার বছর ধরে বিশ্বে টিকে থাকা বাঘ মূলত শুষ্ক অঞ্চলের প্রাণী। একমাত্র সুন্দরবনে পানি, কাদা, বৈরী পরিবেশ ও খাদ্য স্বল্পতার মধ্যে বেঙ্গল টাইগার টিকে আছে। সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রকৃতি বাঘের টিকে থাকার জন্য খুবই কঠিন। এখানে নোনা পানির সমস্যা ও ঝড়-জলোচ্ছ¡াসের মতো ঘটনা নিয়মিত ঘটে থাকে। তাই বাঘ টিকিয়ে রাখতে সুন্দরবনে বাঘের জন্য অনুক‚ল পরিবেশ তৈরি করা অত্যাবশ্যক। ডারেল ইনস্টিটিউট অব কনজারভেশন অ্যান্ড ইকোলজি ও কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, বাঘের লোম, রক্ত, মল, টিস্যু, হাড্ডি, খুলি ও মূত্র থেকে বেঙ্গল টাইগারের নমুনা নিয়ে জিনগত বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে প্রমাণ পাওয়া যায়, সুন্দরবনের মতো এ ধরনের বাঘ বিশ্বের আর কোথাও নেই। শ্বাসমূল সমৃদ্ধ এ বনে টিকে থাকতে কালক্রমে বাঘের শারীরিক গঠন ও আচরণে এসেছে নানা পরিবর্তন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বাঘরক্ষায় বন বিভাগ কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে আমরা সুন্দরবনে টহল জোরদার করেছি, যার ফলে সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের তৎপরতা কমেছে। সর্বশেষ করোনা মহামারিতে একসঙ্গে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ছিল। তখন সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতি নিজেদের মত করে বেড়ে উঠেছে। ওই সময়ে বাঘেরাও তাদের ইচ্ছেমত বনের মধ্যে বিচরণ করেছেন। তখন কয়েকবার বনরক্ষীরা বাঘ দেখেছেন। পরিবেশ অনুক‚লে থাকায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। বাঘের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাঘ বন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। এটি স্বাভাবিক ঘটনা।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বলেন, সর্বশেষ গণনায় সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘ ছিল। গেল দেড় বছরে সুন্দরবনে যেভাবে বাঘ দেখা গেছে, আশা করছি সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে। বাঘের আচরণ আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। বাঘের আচরণ আমাদের কাছে স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ও শিশু-১ আদালত ছাড়া সব আদালতে যাবেন আইনজীবীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
অবশেষে দীর্ঘ ১ মাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ও শিশু -১ আদালত ব্যতীত সব আদালতের উপর থেকে বর্জন কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আজ মঙ্গলবার থেকে ওই ১টি আদালত ব্যতীত সকল আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিবেন আইনজীবীরা। আইনজীবীদের দাবি পূরণে আইনমন্ত্রী, স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশ^াসের প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে বিশেষ সাধারণ সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড.তানভীর ভুঁইয়া।
তিনি জানান, আদালতের সমস্যা নিরসনে রোববার আইনমন্ত্রী অ্যাড.আনিসুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারোয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা বলেছি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর মোহাম্মদ ফারুকের বিষয়ে কোনো ছাড় আইনজীবীরা দেবেন না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দ্রæত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জেলা জজ শারমিন নিগারের বিষয়ে আমাদের নমনীয় হতে বলেছেন। সেই আলোকে বিশেষ সাধারণ সভা শেষে নারী ও শিশু-১ আদালত ব্যতীত সব আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মফিজুর রহমান বাবুল জানান, কোর্টবন্ধকালীন সময়ে ৬শ’ হাজতী রয়েছে যাদের জামিন কাজ ব্যাহত হয়েছে। আইনজীবীরা সেই মানবিক দিক বিবেচনা করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন ১৫শ’ মামলা করে অন্তত ৩০/৪০ হাজার মামলার জটলা সৃষ্টি হয়েছে। আইনজীবীরা আদালতে এলে বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ কমবে। এদিকে, আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার খবরে দুর্ভোগে থাকা বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন