সংখ্যালঘুদের স্বার্থবান্ধব সরকারি দলের বিগত নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত দেশব্যাপী বিরাজমান সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘তারা আজ সার্বিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত। নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর অব্যাহত নানামুখী হামলা আরও জোরদার হতে পারে। সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়িত না হলে সংখ্যালঘুরা আরও হতাশ হয়ে পড়তে পারে, যা আগামী নির্বাচনে ভোটদানে তাদের নিরুৎসাহিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জানামতে, দেবোত্তর সম্পত্তি আইনের খসড়া বিল ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আর বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া বিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।’
অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি, পার্বত্য ভূমি কমিশন অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলেও হতাশা বেড়েছে এবং নানামুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অনতিবিলম্বে তা কার্যকরীকরণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ আজ আর খোলা নেই। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন দীর্ঘকাল আগে হলেও ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগে আবেদন নিষ্পত্তির হার এখনো আশানুরূপ নয়।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিনকে ২২তম রাষ্ট্রপতি মনোনীত করায় আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় গোটা জাতি ধন্য হয়েছে।’
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রানা দাশগুপ্তের বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ ঐকমত্য পোষণ করে বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে যথাসময়ে অবহিত করা হবে।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন