শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকার আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ ব্যবস্থাপনায় কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে : পরিবেশমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার দেশে আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ ব্যবস্থাপনায় কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনণয়ন করছে ।

তিনি বলেন, দেশের জন্য ক্ষতিকর ১৭টি বিদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭টি হচ্ছে প্রধান। দেশের পাঁচটি সংরক্ষিত এলাকা হিমছড়ি, কাপ্তাই ও মধুপুর জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা ও সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ভিনদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনায় ৫টি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র জাতীয় বন ও বনজ সম্পদ সংরক্ষণে ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখবে।
শাহাব উদ্দিন আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন অধিদপ্তর মিলনায়তনে আয়োজিত 'ডেভেলপিং বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড লিস্ট অফ প্ল্যান্টস এন্ড ডেভেলপিং ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি অফ এলিয়েন স্পিসিজ অফ প্ল্যান্টস ইন সিলেক্টেড প্রোটেক্টেড এরিয়াস' শীর্ষক কর্মসূচির চূড়ান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমীন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও আইইউসিএনের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব স্থাপনকারী প্রজাতির বিপনন ও বাণিজ্য প্রতিরোধ, বাস্তুতন্ত্র থেকে নির্মূল এবং বিস্তাররোধ করে আগ্রাসী উদ্ভিদসমূহ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

তিনি বলেন, তাছাড়া আগ্রাসী উদ্ভিদগুলোকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা, আমদানি করা উদ্ভিদ প্রজাতির জন্য স্ক্রিনিং এবং কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতির মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাও সহজ হবে।
কর্মশালায় অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, মধুপুর জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জন্য প্রণীত ৫টি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় বন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং দেশের গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন