বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ফারুক হোসেন নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক দাঁতিনা ভোল মাছ। ৬৩ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের এ মাছ দুইটির মূল্য হাঁকা হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে গতকাল শনিবার সকালে মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মেসার্স জয়মনি ফিস আড়ৎ মালিক আল আমিন এই মাছটি কিনে মোংলায় নিয়ে আসেন। এ সময় মাছ দুটি এক নজর দেখতে মোংলা মাছ বাজারের লোকজন ভিড় জমায়। জেলে ফারুক হোসেন জানান, গত ৫ মাস ধরে সাগরে দুবলার চর ও আশেপাশের এলাকায় তিনি মাছ ধরছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাগরের গহীনে মাছ ধরতে গেলে তার জালে দুইটি বড় আকারের দাঁতিনা ভোল মাছ ধরা পড়ে। শেষ রাতে সাগর থেকে এসে সেটি কিনারে নিয়ে সাগর পাড় দুবলার চরে মৎস্য আড়তে নিলামে উঠানো হয়। ওই নিলামে ২০ থেকে ২৫ জন দরদাতার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা মোংলা বাজারের মাছ ব্যাবসায়ী আল আমিন মাছ দুইটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেন। তার মধ্যে বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, দাম হাঁকা হয় ১১ লাখ টাকা এবং ছোট আকারের মাছটির ওজন ২৭ কেজি, দাম ধরা হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সামুদ্রিক এ মাছ দুটির প্রতি কেজি মাছের মূল্য পড়েছে ২৯ হাজার ১৩৩ টাকা।
ব্যবসায়ী আল আমিন মাছ দুটি প্যাকেটজাত করে দুপুরে চট্টগ্রামের মাছের বড় বাজারে পাঠিয়েছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, শুধু মাত্র মাছের মূল্য যে এতোটা তা নয়, এ মাছের মধ্যে বিশেষ ধরণের ফুলকী বা বালিশ রয়েছে, যার মূল্য কেজি প্রতি প্রায় কয়েক লাখ টাকা।
সামুদ্রিক এ মাছগুলো সচারচার পাওয়া যায় না। ফারুক খুব ভাগ্যবান বলেই তার জালে মূল্যবান এ মাছ ধরা পরেছে। তাই এই মাছ দুটির দাম অনেক।
মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ও মৎস্য সমবায় সমিতি সভাপতি মো. আফজাল ফরাজী বলেন, দাঁতিনা ভোল মাছ এ অঞ্চলে খুবই কম পাওয়ায় যায়। মোংলা পশুর নদী বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদনদীতে আগে দুই একটি মাছ পাওয়া গেলেও এখন সেভাবে পাওয়া যায় না। মূলত এ মাছের শরীরের বিভিন্ন অংশের কারণে দাম এতো বেশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন