ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ‘আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে› এবার মোট ৫ হাজার ৯৬৫ টি আসনের জন্য শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ফি জমা দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে এই তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ভিসি জানান, এবার ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে ১৭৪৪, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯০৮ এবং বাণিজ্য বিভাগের ২৮২ সহ মোট ২৯৩৪ টি আসন থাকবে। একইভাবে বিজ্ঞান ইউনিটে মানবিক বিভাগের ৫১, বিজ্ঞান ১৭৭৫ এবং বাণিজ্য বিভাগের ২৫ টি সহ মোট ১৮৫১ টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে মানবিক বিভাগের ২৫, বিজ্ঞানের ৯৫ এবং বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৯৩০ সহ মোট ১০৫০ টি এবং চারুকলা ইউনিটে ১৩০ টি আসন থাকবে।
উল্লেখ্য, এবারের ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার নাম ‘১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণি ভর্তি পরীক্ষা’ থেকে পরিবর্তন করে ‹আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম› নামকরণ করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই নামকরণ করা হয়। এছাড়া, ‹আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম›-এ ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার সাথে ট্রান্সজেন্ডার› কোটাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে। আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
‹আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম›-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী ‹কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট›-এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ০৬ মে, ‹বিজ্ঞান ইউনিট›-এর ভর্তি পরীক্ষা ১২ মে, ‹ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট›-এর ভর্তি পরীক্ষা ১৩ মে এবং ্রচারুকলা ইউনিট›-এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) আগামী ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। সকল ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১:০০টা থেকে দুপুর ১২:৩০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ‹চারুকলা ইউনিট› ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। শুধুমাত্র চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। এরমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের উপর থাকবে ২০ নম্বর।
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২০ সন পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২২ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ‹বিজ্ঞান ইউনিট›-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট -এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ‹ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট›-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‹চারুকলা ইউনিট›-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন