ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অবৈধ ৩ শতাধিক ভাসমান দোকানপাট থেকে বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল টিমের একাংশের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বুধবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
প্রফেসর গোলাম রব্বানী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমলে নিয়েছে। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর এম মাকসুদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। কমিটির সদস্য সচিব হলেন প্রফেসর ড. লিটন কুমার সাহা। এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন রোকেয়া হলের হাউস টিউটর ড. দিলারা জাহিদ।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনশ’র বেশি অবৈধ দোকান-বছরে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা নেন প্রক্টরিয়াল টিমের একাংশ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে প্রক্টর অফিসের টোকেনম্যান মো. শামীম ও সেকশন অফিসার রেজাউল করিমসহ বেশ কয়েকজন মোবাইল টিমের সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়। ইনকিলাবের ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এবার এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তথ্য মতে এতদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যবসা করে আসা প্রায় তিন শতাধিক ভাসমান দোকানপাট থেকে বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা নিতেন শামীম চক্র। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নজর এড়িয়ে মাসিক মাসোহারার বিনিময়ে তারা ক্যাম্পাসে ব্যবসার সুযোগ দিতেন এসব দোকানীকে। অবৈধভাবে ব্যবসা করা এসব দোকান থেকে নির্দিষ্ট এরিয়ায় নির্দিষ্ট দালালের মাধ্যমে টাকা তোলা হতো। সংগ্রহের সব টাকা হাতে পেতো শামীম। পরবর্তীতে শামীম চক্রের অন্যান্য সদস্যের মাঝে তা ভাগবাটোয়ারা করতেন।
কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ অভিযানে উচ্ছেদ করা হয় এসব ভাসমান দোকান। এবং তা চলমান থাকবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান।###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন