বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মাছের আঁশ রফতানি হচ্ছে সুদূর চীনে

কোনো কিছুই এখন নয় ফেলনা

হিলি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২৩, ১২:০০ এএম

মাছের আঁশ এটা ফেলনা জিনিষ। স্থান পায় ভাগাড়ে। এই ফেলনা জিনিষটি বিক্রি করে দিনাজপুরের হিলির মানুষ বাড়তি আয় করছে। এ আঁশ রফতানি হচ্ছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে।
হিলি মাছ বাজারে নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য দোকান থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান আর ফেলে দেয়া হয় মাছের আঁশগুলো। সেই আঁশ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। মাছ বাজারে বড়-ছোট মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫টির মতো মাছের দোকান রয়েছে। এ আঁশ রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফয়েলসহ নানা কিছু। দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগির খাদ্য।

মাছ বিক্রেতা আশরাফুল বলেন, আমরা প্রতিদিন ১ থেকে ২ কেজি করে মাছের আঁশ জড়ো করি যা মাসে ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।

হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাওসার হোসেন বলেন, মাছের আঁশগুলো আগে ফেলে দিতাম যা পরিবেশ দূষিত করতো। এখন মাছের আঁশগুলোর চাহিদা থাকায় ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি। মাছের আঁশ পাইকার ক্রেতা লিটন পারভেজ বলেন, আগে সবাই মাছের আঁশ ফেলে দিতো। এখন আমরা কিনি বলে সবাই সংগ্রহ করে রাখে। আমি শুধু হিলি নয়, দিনাজপুর সৈয়দপুর, ঘোড়াঘাট, বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট, বিরামপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার মাছ বাজার থেকে এ আঁশ সংগ্রহ করে থাকি। এগুলো সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠাই। সেখান থেকে রফতানি হয় চীনে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Rezaul Karim ৩ মার্চ, ২০২৩, ২:৩২ এএম says : 0
ভালো উদ্যোগ
Total Reply(0)
aman ৩ মার্চ, ২০২৩, ২:৩৩ এএম says : 0
সরকারিভাবে এর যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এ খাতে আরো বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন হবে
Total Reply(0)
Tutul ৩ মার্চ, ২০২৩, ২:৩৫ এএম says : 0
সরকারিভাবে দেখভাল করলে এ খাতে বিপুল টাকা অর্জন করতে পারবে জেলিরা
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন