ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে জি-২০ সম্মেলনে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আয়োজক দেশ ভারত।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বৈঠকটি রাশিয়ার ‘উস্কানিবিহীন এবং অযৌক্তিক যুদ্ধের’ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ‘জিম্মি করা ও হুমকির’ অভিযোগ করেছেন।
ধনী দেশগুলোর জোট জি-২০ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে আয়োজক ভারত চেয়েছিল এমন ইস্যুতে আলোচনা করতে যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। তবে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে মতবিরোধ পুরো আলোচনার চেহারাই বদলে দিয়েছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শয়ঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু দেশগুলোর মধ্যে মত-পার্থক্য অনেক বেশি।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সম্মেলনের সাইডলাইনে মাত্র ১০ মিনিটের বৈঠক করেছেন। মাত্র এক বছর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি ছিল শীর্ষ মার্কিন ও রুশ কূটনীতিকদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
বৈঠকে ব্লিঙ্কেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, পশ্চিমারা ‘যতদিন সময় লাগবে’। তিনি রাশিয়াকে নিউ স্টার্ট পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে পুনরায় যোগদানের জন্য চাপ দিয়েছেন।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি হয়নি। তবে মস্কো ও বেইজিং পশ্চিমাদের ‘জিম্মি ও হুমকির’ মোকাবিলা করতে একমত হয়েছে। অবশ্য এ ব্যাপারে বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা কোনও মন্তব্য করেননি।
এর আগে, রাশিয়াও পশ্চিমের বিরুদ্ধে কিছু ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিকে "কবর দেওয়ার" অভিযোগ করেছিল - কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল যে মস্কো ইউক্রেনের রপ্তানিকে বাধা দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে রাশিয়ান কর্মকর্তারা বলেছেন যে মস্কো এবং বেইজিং তারা যাকে পশ্চিমা ব্ল্যাকমেল এবং হুমকি বলে তার বিরোধিতা করতে সম্মত হয়েছে - তবে চীন এটি নিশ্চিত করেনি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা শিষ্টাচার সম্পর্কে কথা বলি। তবে আমাদের পশ্চিমা প্রতিপক্ষরা এ ব্যাপারে একেবারেই খারাপ হয়ে গেছে। তারা আর কূটনীতির কথা ভাবছে না; তারা এখন কেবল জিম্মি করে এবং অন্য সবাইকে হুমকি দিয়ে কাজ করে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন