দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর গোলাগুলির শব্দে উত্তপ্ত ছিলো পঞ্চগড় শহর। চতুর্দিকে বিরাজ করছিলো আতঙ্ক। তবে একদিনের ব্যবধানে স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে পঞ্চগড়ে যানবাহন চলছে আগের মতোই, খুলছে দোকানপাটও। শহরে অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্য।
এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আহমদিয়াদের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বড় পরিসরে চৌরঙ্গী মোড়ের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের ওপর হামলা করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে লোকজন। এসময় পুলিশও টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের একজন এবং স্থানীয় এক যুবক নিহত হন। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বাদ পড়েনি ট্রাফিক পুলিশের অফিসেও।
দীর্ঘদিন ধরেই আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলো সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনগুলো। তাদের দাবি শেষ নবীকে অস্বীকার করে অন্য কাউকে নবী মেনে কেউ মুসলিম দাবি করতে পারে না। গোলাম আহমদকে নবী মনে করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়, তারা কাফের। ইসলামের নামে তাদের কোনো জলসা আয়োজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মেনে নিতে পারে না।
পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা জানান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধ ঘোষণা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমান পঞ্চগড় শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সদস্যরা তৎপর রয়েছে। ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তারপর আটক কার্যক্রম। নিহতদের দায় কার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দায় নিরূপণ করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন