মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট ২০২২-এর চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বের জন্য ৪টি দল-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘অনন্য অন্নদা’, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘ট্রোজান’, ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘ঝিনুক ২২’ এবং পটুয়াখালীর গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ‘দ্য টেলেঞ্জার’ দল নির্বাচিত হয়। সম্প্রতি আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট মিলনায়তে এই রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
এথিক্স এডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এম এ মুবিন খান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
টপ-১৬ থেকে টপ-৮ পর্বে উত্তীর্ন বাকি দলগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ‘অদম্য ৩’, নওগাঁ কৃষ্ণধন (কে.ডি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘কেডি কুইজারস স্কোয়াড’, শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ফেলুদা, এবং ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের এম.জেড.এস ২২ কুইজ টিম। টপ-১৬ পর্ব থেকে বাদ পরা ৮টি দলকে পচিঁশ হাজার টাকা করে, টপ-৮ পর্ব থেকে বাদ পরা ৪টি দল কে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার ও সনদপত্র দেয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণদের নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়, যাতে চ্যাম্পিয়নদল পাঁচ লাখ টাকাসহ ৪টি দল মোট এগার লাখ টাকা পুরস্কার হিসাবে পাবে।
অধ্যাপক মাহফুজ তাঁর বক্তৃতায় বলেন এডুটিউব কুইজ কনটেস্টে আসতে পেরে তিনি আনন্দিত। দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের ছেলেমেয়েরা যে দক্ষতার সাথে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে তাদেরকে তিনি শুভেচ্ছা জানান। দেশের সকল জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এই আয়োজন করার জন্য আমি এডুটিউবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন,বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে। সে সাহস এবং স্বপ্ন আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের দেশের চালিকাশক্তি হবে, তারা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রতিযোগিতার আয়োজক এবং ইএটিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এম এ মুবিন খান এডুটিউব নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা জানান এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে মোবাইল ডিভাইসকে ভাল কাজে ব্যবহার করতে পারে, জ্ঞান-অর্জনের জন্য ব্যবহার করে এই বিষয় মাথায় রেখে এডুটিউব কুইজ কনটেস্টের আয়োজনের কথা জানান। আগামী পাঁচবছরে তিনি এই প্রতিযোগিতা দেশের সব স্কুল-কলেজে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য একটি শিক্ষা-সামাজিক আন্দোলন তৈরির মধ্য দিয়ে সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা। আমাদের কিশোররা যেন মোবাইল এবং ইন্টারনেটের নেতিবাচক অংশ থেকে দূরে সরে এসে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং গঠনমূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে এই লক্ষ্যেই আমাদের এই কুইজ আয়োজন। এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃত্ত হয়েছে বিশ্বব্যাংক নলেজ পার্টনার, টেকনোলজি পার্টনার হিসাবে হূয়াওয়ে, এবং স্ট্রে্টেজি পার্টনার হিসাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
মন্তব্য করুন