অস্তিত্বহীন জমি ‘ক্রয়’ এবং সেই ‘ক্রয়কৃত’ জমিতে বালু ভরাট, অস্তিত্বহীন ‘সার্ভিস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের নামে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে রিট করা হয়েছে।
গতকাল ( রোববার) ১৪ ভুক্তভোগীর পক্ষে কুষ্টিয়ার রহিমা আক্তার বাদী হয়ে এ রিট করেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চে রিটটির শুনানি হবে-বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইনকিলাব। শত কোটি টাকা লোপাট/ হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্তিত্বহীন জমিতে বালু ভরাট, স্টাফদের বেতনাদি ও কমিশন পরিশোধের ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে এই অর্থ লোপাট করা হয়েছে-মর্মে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচারে গ্রাহকের ১০৪ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করে হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন লাভের পর ১৯৯৬ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির জন্মই হয় অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে।
যুক্তরাজ্যের কয়েকজন নাগরিক ‘বাংলাদেশি নাগরিক’ পরিচয় দিয়ে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটির অনুমোদন নেন। বাকি বিনিয়োগকারীরাও বৃটিশ নাগরিক। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে তারা বিনিয়োগ করেন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে। রেকর্ড অনুযায়ী, বিনিয়োগের এ অর্থ কোনো ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসেনি। সরকারের বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি: ও পরিচালকগণ দেশে টাকা আনেন হুন্ডির মাধ্যমে।
ইতঃপূর্বে হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগটি যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে অনুসন্ধান করা হবে, মর্মে দাবি করলেও বিগত এক মাসেও অনুসন্ধান কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে হতাশ সংক্ষুব্ধ গ্রাহকরা উপরোক্ত রিট করেন।
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছাড়াও অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিব, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান, হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৪ পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন