বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শায়খুল ইসলাম ইন্টা. জামেয়া
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের সহকারী পরিচালক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা মাওলানা শাহ্ নজরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে এদেশের আলেম-উলামাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বদলীয় মুক্তিসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপিট দারুল উলূম দেওবন্দের সূর্য সন্তান। শুধু তিনিই নয়, আলামা মুহাম্মদ উলাহ হাফেজ্জি হুজুর (রহ.) যার দিকনির্দেশনায় এমদাদুল হক আড়াইহাজারী (রহ.) আড়াইহাজার থানার কমান্ডার হয়ে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া ঢাকা আরজাবাদ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা জমিয়ত নেতা আলামা শামছুদ্দিন কাসেমী (রহ.), জমিয়ত নেতা মাওলানা মোস্তফা আযাদ, আলামা কাজী মুতাসিম বিলাহও ছিলেন খলিফায়ে মাদানী আলামা লুৎপুর রহমান বর্ণভী (রহ.)’র বাড়ীতে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা রাত্রীযাপন করেছিলেন, অনেক হিন্দু পরিবারকে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন। সুতরাং এদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে আলেমরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমান সরকার এর স্বীকৃতি স্বরূপ মাদানী পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করে। এসব ইতিহাস আজ বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে হবে। মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্ণনার মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ সবাইকে আস্বাদন করতে হবে।
গত ১৫ ডিসেম্বর নগরীর রায়নগর দর্জিপাড়ায় অবস্থিত শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়ায় আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ছাত্র জমিয়ত সংসদের সভাপতি মাওলানা ওসমান গনির সভাপতিত্বে ও জিএস নাজিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় কুরআন তেলাওয়াত করেন বিশ্বনন্দিত হাফেযে কুরআন আবদুলাহ আল মাহফুজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামেয়ার শিক্ষক ও সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামেয়ার শিক্ষক হাফেয মাওলানা মনছুরুল হাসান, হাফেয মাওলানা হাতেম আহমদ, আতিকুর রহমান নগরী প্রমুখ। পরিশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সকল বীর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম।
সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য
শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন করে এ দেশ থেকে ইসলাম নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। দেশের ঈমানদার তওহীদি ছাত্র-জনতা যে কোনো মূল্যে এই ইসলাম বিনাশী, নাস্তিক্যবাদী, হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন রুখে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইনশাআল্লাহ। সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রহীম সাঈদের সভাপতিত্বে ও খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. নেয়ামতুল্লাহর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মুহাম্মাদ খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদির, ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়কারী আবদুর রহমান, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবুল হাশিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের মহাসচিব মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান, ছাত্র ঐক্যের অর্থ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান সানী, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ইসলামী ছাত্র খেলাফত-এর কেন্দ্রীয় নেতা মো. তকদির হোসেন,  ইসলামী ছাত্রসামজের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদুল হাসানসহ প্রমুখ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন করে এদেশের ঈমানদার মানুষকে বেঈমান বানানোর চক্রান্ত করছে। সেই সাথে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাঠ্যসূচি পড়ানো হচ্ছে। আমাদের পাঠ্যসূচিতে ছিল হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী, হযরত ওমর (রা.)-এর জীবনী, আবু বকর (রা.) জীবনী। ছিল যুগশ্রেষ্ঠ ইসলামিক লেখকদের কবিতা, প্রবন্ধ। কিন্তু সরকার কিছু নাস্তিক ও হিন্দুয়ানী ভাবধারার ব্যক্তিদের দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এ অবস্থায় দেশের ইসলামপ্রিয় তওহীদি ছাত্র-জনতা চুপ করে বসে  থাকতে পারে না। ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা নিজের জীবন দিয়ে হলেও এই ধর্মহীন শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও বিতর্কিত পাঠ্যসূচি সংশোধন করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন