ইনকিলাব ডেস্ক : চলতি বছরেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি ফাতাহ আন্দোলনের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে এক অনুষ্ঠানে এমন আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা ২০১৭ সালের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, এ স্বীকৃতি দুই রাষ্ট্র সমাধান অর্জনের সম্ভাবনাকে জোরদার করবে এবং প্রকৃত শান্তি নিয়ে আসবে। রাষ্ট্রসত্তা অর্জনে সশস্ত্র সংগ্রামের পথে না গিয়ে মাহমুদ আব্বাস গত কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক কৌশল অবলম্বন করেছে। এছাড়াও, আব্বাস তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে, ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে শান্তি অর্জনে দুই রাষ্ট্র সমাধানে আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত আছি। অপরদিকে, গেল বছরের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৩৩৪নং রেজল্যুশনে বলা হয়, বসতি নির্মাণের আইনগত কোনো বৈধতা ইসরাইলের নেই এবং এটি শান্তির পথে একটি বাধা। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এই রেজল্যুশনকে স্বাগত জানায়। অন্যদিকে, ইসরাইলি নেতারা এটিকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়। এখনো পর্যন্ত ১৩৬টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আরো বেশি স্বীকৃতি সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে। অনুষ্ঠানে আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনের ভূমিতে বসতি নির্মাণ করায় আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নেই। ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ইসরাইলীদের বসতি নির্মাণের কোনো অধিকার নেই। তিনি বলেন, অবৈধ বসতি নির্মাণের তৎপরতা থেকে ইসরাইলকে বিরত থাকতে হবে। এর পাশাপাশি অধিকৃত ভূমিতে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার পরিবর্তন ঘটানোর তৎপরতা থেকেও তেল আবিবকে বিরত থাকতে হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ না করায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। দ্য জেরুজালেম পোস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন