শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

সহজাত দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন সাদ্দাম

অবসরপ্রাপ্ত সিআইএ কর্মকর্তা জন নিক্সন লিখিত বইয়ে মন্তব্য

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১১ সালে সিআইএ থেকে অবসর গ্রহণ করেন জন নিক্সন। সাদ্দাম হুসেইনের ওপর লেখা তার বই ডিব্রিফিং দি প্রেসিডেন্ট : দি ইন্টারোগেশন অব সাদ্দাম হুসেইন-এ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন নিক্সন। তার বইয়ে সাদ্দামের মানবিক দিকও উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম তার যে ভয়ংকর মূর্তি তৈরি করে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন নিক্সন। নিক্সনের ভাষায়, আমার দেখা সহজাত দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে সাদ্দাম হুসেইন অন্যতম। যখন তিনি চান, তখন তিনি হাসিখুশি, কৌতুকপূর্ণ ও বিনীয় মানুষে পরিণত হতে পারেন। মেজাজ হারালে সাদ্দামের মতো নিষ্ঠুর, ক্ষ্যাপা জঘন্য মানুষ আর দ্বিতীয়টি হয় না। এগুলো তার অন্ধকার দিক বলে মনে করেন নিক্সন। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে ইরাক গুঁড়িয়ে যাওয়ার পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ধরা পড়েন সাদ্দাম হুসেইন। তখন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এমন একজন বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন ছিল, যিনি সাদ্দামকে চিহ্নিত করতে পারেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। তখন যে লোকটির ডাক পড়ে তিনি হলেন জন নিক্সন। এই জন নিক্সন সিআইএর তৎকালীন কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে সিআইএ-এ যোগদানের পর তিনি সাদ্দাম হুসেইনের ওপর পড়াশোনা করেন। তার কাজ ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের অন্তর্নিহিত সক্ষমতা খুঁজে বের করা। অন্তর্নিহিত সক্ষমতা নেতাদের কীভাবে তাদের অবস্থানে দৃঢ় করেছিল, তা বিশ্লেষণ করতেন তিনি। বিবিসির ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার প্রোগ্রামে জন নিক্সন তার কাজ নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, কোনো সংকট সৃষ্টি হলে নেতারা আমাদের কাছে আসেন। তাদের জিজ্ঞাসা থাকে- এসব লোক কারা, তারা কী চায়, তারা কেন এসব করছে? সাদ্দামের পরাজয়ের সময় ইরাকে ছিলেন নিক্সন। নিজের শহর তিরকিতের কাছে একটি খামার বাড়িসংলগ্ন ছোট গর্ত থেকে ধরা হয় সাদ্দামকে। যখন তার ধরা পড়ার খবর জানাজানি হলো, তখন সাদ্দামকে শনাক্ত করার প্রয়োজন হলো। এ কাজের ভার পড়ল নিক্সনের ওপর।
সাদ্দামের ধরা পড়ার সময় এক ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। হুবহু সাদ্দামের মতো বেশ কয়েকজন ছদ্মবেশ নিয়েছে। ফলে কে আসল সাদ্দাম, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তবে নিক্সনের চোখ ভুল করেনি। সাদ্দামকে ঠিকই চিনে নেন তিনি। এ সম্পর্কে নিক্সন বলেন, আমার মনে কোনো সন্দেহ ছিল না, আমি তাকে দেখি এবং বুঝতে পারি ইনিই সাদ্দাম। যখন আমি তার সঙ্গে কথা বলা শুরু করি, তখন তার চাহনি ঠিক তেমনই ছিল, যেমনটি দীর্ঘদিন আমি দেখেছি। দায়িত্ব পাওয়ার পর টানা কয়েক দিন সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন নিক্সন। তিনি বলেন, আমার ভেতরে একটি বিষয় তাড়া করছিল, বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিকে আমি জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এটি আমার কাছে উপহাসের মনে হচ্ছিল। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
হাবিব ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:৫৯ পিএম says : 1
এখন এসব কথা লিখে বা বলে কোন লাভ আছে ?
Total Reply(0)
মোঃ মাসুদ রানা ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৯:৫৭ পিএম says : 0
এখন আপনাদের সাদ্দামকে ভালো মানুষ মনে হচ্ছে কিন্তু তার জন্য আপনারা মধ্যপ্রাচ্য কে মৃতুকূপে পরিনত করছেন...
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন