বরিশাল ব্যুরো : গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বরিশালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলের প্রস্তুতির সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তিন-দফা হামলায় বিএনপি নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ প্রায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। হামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে এ বেপরোয়া হামলার ঘটনায় নগরীতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু সময় নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে যানবাহন চলালচলেও বিঘœ ঘটে। হামলায় বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করেছেন জেলা দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টায় নগরীর সদর রোডে টাউন হলের পাশে দলীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালনে কালো পতাকা মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করার জন্য জড়ো হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করলে পুলিশের সামনে ক্ষমতাসীন দলের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ও ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দূরে সরিয়ে দেয়।
এরপর বিএনপি কার্যালয়ে আসেন যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান সারোয়ার। এ সময় বিএনপি কার্যালয় থেকে ১০ গজ দূরত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়ে সেøাগান দিতে থাকে। এতে করে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশি পাহারায় বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করতে থাকে। কিন্তু পরে নগরীর প্যারারা রোডে বিএনপির এক নারী কর্মীর উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। গতকালের ঐ হামলায় এনটিভির ক্যামেরাপার্সন গোবিন্দ সাহাও আহত হয়।
বেলা সাড়ে ১২টায় পুলিশ পাহারায় মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সারোয়ার দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করার পরে সদর রোডে ক্যাপ্টেন নজিব উদ্দিন ক্লিনিকের সামনে জেলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এবায়দুল হক চাঁন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদারসহ অন্যান্য নেতাকর্মীর উপর তৃতীয় দফায় লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীসহ চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাপারসন আরিফুর রহমান, বরিশাল সময়ের ফটো সাংবাদিক নাদিম আহমেদ, দৈনিক শাহনামার ফটো সাংবাদিক সুমন আহমেদ আহত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন