টেকনাফ উপজেলা সংবাদদাতা : টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৭৫০ পর্যটক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পর্যটকবাহী জাহাজ এলসিটি কাজল ৪ ঘণ্টা আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় ট্রলারের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজ কমপক্ষে সাড়ে সাতশ’ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যা ধারণ ক্ষমতার দুই গুণ বেশি। মাঝসাগরে গিয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এটি আটকা পড়ে। জাহাজটি দুপুর ১২টায় সেন্টমার্টিনে পৌঁছার কথা থাকলেও তারা পৌঁছে বিকেল ৪টায়। ওই জাহাজে থাকা চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের ছাত্র আলমগীর কবির
মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাঝ সাগরে পৌঁছার পর জাহাজটি ডুবোচরে আটকা পড়ে। এ সময় পর্যটকরা কান্নাকাটি শুরু করেন।’ জাহাজটিতে সাড়ে সাত শতাধিক পর্যটক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য সেন্টমার্টিন থেকে কাঠের ট্রলার নিয়ে আসছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, ‘জাহাজ আটকা পড়ার খবর শুনেছি। জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটকে পড়া পর্যটকদের ট্রলার নিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে ‘এলসিটি কাজল’ জাহাজের ব্যবস্থাপক আবদুর রহিম খোকার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ‘এলসিটি কাজল’ টেকনাফ- সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলের যোগ্য নয়। তবুও প্রশাসন কিভাবে জাহাজটিকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে, তা বোধগম্য নয়। জাহাজ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে থাকে। তাই এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন