বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সকল আধিপত্যবাদী শক্তি রুখে দিতে একুশের চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে -খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, একুশের অমøান চেতনায় সকল ষড়যন্ত্রকারী আধিপত্যবাদী শক্তিকে রুখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।
মহান একুশের শহীদদের আত্মদান এই দুঃসময়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রেরণা যোগাবে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারির সকল শহীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। এ দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক তাৎপর্যময়। মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমে এসে পুলিশের গুলিতে আত্মদান করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের এই মহিমান্বিত আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান।
খালেদা জিয়া বলেন, বায়ান্ন সালের একুশের পথ ধরেই এদেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়েছে, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা।
তিনি উল্লেখ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সরকারি স্বীকৃতি না দিয়ে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এদেশের উপর নিজেদের সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল- এদেশকে স্থায়ীভাবে পরাধীন রাখার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তা প্রতিরোধ করে। দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এদেশের উপর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে চাচ্ছে। ভিন্ন কায়দায় আমাদের ভাষা সংস্কৃতির ওপর বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে মহল বিশেষের সহযোগিতার জন্য।
তিনি বলেন, যারা দেশকে তাঁবেদার রাখতে চান, তারাই চক্রান্তের জাল বুনে আধিপত্যের থাবাকে বিস্তার লাভ করতে সুযোগ দিয়ে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দিচ্ছে- যাতে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারি। আর এইজন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারো একদলীয় দুঃশাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে। মহান ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
‘পরিশেষে আমি ৫২’র ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিতার কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি সমবেদনা। পাশাপাশি ভাষা সৈনিকদের জানাই শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন। তাদের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন খালেদা জিয়া।
পৃথক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অধিকার আদায় এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে ভাষা শহীদগণ আমাদের প্রেরণার উৎস। তারা মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতি সম্পন্ন জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধিকতর সমৃদ্ধ করে তুলতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন