মালিয়া-সাশার উদ্দেশে খোলা চিঠিতে বুশের দুই যমজ কন্যা
ইনকিলাব ডেস্ক : দীর্ঘ আট বছর হোয়াইট হাউজের ‘রাজত্ব’ থেকে স্বপরিবারে বিদায় নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শ্বেত রাজপ্রাসাদের রাজসিক জীবন থেকে অন্য ১০ মার্কিনির মতো সাধারণ জীবনযাপনে ফিরতে হচ্ছে ওবামা এবং তার স্ত্রী-কন্যাদের।
এই রাজসিক জীবন থেকে সাধারণ জীবন পরিবর্তনটায় কিভাবে নিজেদের মানিয়ে নেবেন ওবামা তনয়া মালিয়া ও শাসা? তাদের জন্য সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের যমজ কন্যা জেনা হ্যাজের ও বারবারা। ঠিক এই পরিবর্তনটার মধ্য দিয়েই যে যেতে হয়েছিল তাদেরও।
একটি চিঠি লিখে পরামর্শ দিয়ে বুশ কন্যাদ্বয় ওবামা কন্যাদের বলেন, ‘নিজেদের মতো জীবনযাপন করতে শেখো’।
চিঠিতে জেনা ও বারবারা ২০০৮ সালে হোয়াইট হাউজ থেকে তাদের বেরোনোর সময়ের এবং ওবামা কন্যাদের প্রবেশের স্মৃতিচারণ করেন। উল্লেখ করেন, দু’পক্ষের চোখ জলজল করে ওঠা এবং মুখাবয়ব ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার সময়ের পরিবর্তনের কথাও। হোয়াইট হাউজ যুগের পর ওবামা কন্যাদের নতুন জীবন শুরু হচ্ছে উল্লেখ করে জেনা ও বারবারা বলেন, ‘এখন তোমরা সাবেক প্রেসিডেন্টদের সন্তানদের ক্লাবে ঢুকছো- এটা এমন এক জীবন, যেখানে তোমরা কাউকে পরামর্শক হিসেবে পাবে না। কিন্তু তোমাদের অনেক সামনে তাকাতে হবে’।
বুশ কন্যাদ্বয় ওবামা কন্যাদ্বয়কে বলেন, ‘এখন তোমরা তোমাদের জীবনের গল্প লিখবে, তোমাদের মা-বাবার খ্যাতির ছায়ার বাইরে এসে, গত আট বছরের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে’।
রাজনীতির রাজত্বের বাইরে থেকে বুশের এ যমজ কন্যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন স্ব স্ব জায়গায়। জেনা এখন প্রখ্যাত সংবাদ প্রতিষ্ঠান এনবিসির ‘টুডে শো’র করেসপনডেন্ট পদে কাজ করছেন, আর বারবারা কাজ করছেন বেসরকারি সংস্থা গ্লোবাল হেলথ করপোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট পদে।
চিঠিতে ওবামা কন্যাদের হোয়াইট হাউজ পরবর্তী জীবন উপভোগেরও পরামর্শ দেন জেনা ও বারবারা।
বলেন, ‘তোমাদের কলেজ জীবন উপভোগ করো। সারাবিশ্ব যেটা জানে, যেভাবে আমরা করেছি। আর পুরো বিশ্বের ভার তোমাদের নিজেদের কাঁধে নেয়ার দরকার নেই। নিজের ইচ্ছেশক্তির প্রকাশ করো। নিজেকে জানো। ভুল করতেই পারো, বয়সের কারণে সেটা হতে পারে। তোমরা তোমাদের সে বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরা করো যারা তোমাকে চেনে, আদর-স্নেহ-যতœ করে এবং তোমাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে আড়াল করবে’।
বুশ কন্যারা সমালোচনা ছাপিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে জীবন যাপনের আহ্বান জানিয়ে ওবামা কন্যাদের বলেন, ‘তোমরা হোয়াইট হাউজের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে জীবনযাপন করেছো। নিজেদের মা-বাবার সমালোচক অনেকের কড়া কথা শুনতে হয়েছে তোমাদের। কিন্তু তোমাদের মা-বাবা সবসময় তোমাদের পাশে থেকেছে। তোমাদের মা-বাবা কেবল তোমাদের সামনে এগিয়ে দেয়নি, কেবল দুনিয়া দেখায়নি, দুনিয়া উপহার দিয়েছে। বরাবরের মতোই তারা তোমাদের পরবর্তী জীবনেরও ভিত হয়ে থাকবে। যেভাবে আমাদের ক্ষেত্রে হয়েছে’।
হোয়াইট হাউজ ‘যুগ’ শেষ হলেও ওবামা পরিবার ওয়াশিংটনেই থাকার পরিকল্পনা করেছে। এখানে নিজের হাইস্কুল পাঠ শেষ হয়েছে সাশার। অপর দিকে হাইস্কুলের গ্রাজুয়েশনের পর এই বর্ষায় ম্যাসাচুটেসের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হচ্ছেন মালিয়া। সূত্র : টাইম ডটকম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন