সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি লিটন হত্যার ১৭ দিন পার হলেও প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হয়নি।
গত ৩১ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তের গুলিতে এমপি লিটন হত্যাকা-ের পর পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ খুনীদের গ্রেফতারে ময়িরা হয়ে উঠলেও তাদের হাতে তেমন কোন তথ্য উপাত্ত নেই। এ পর্যন্ত এঘটনাকে কেন্দ্র করে ৬৫ জনকে আটক করে। এর মধ্যে ১০ জনকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। দীর্ঘ ১৭ দিন থেকে আটক, গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে না পারায় এমপি লিটন হত্যাকা-ের মূল রহস্য অজানাই।
এদিকে পুলিশের কাছ থেকে এমপি লিটন হত্যাকা- সম্পর্কে প্রকৃত কোন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। তারা তদন্তের অজুহাতে এখনো বিষয়টি ধামা-চাপা রাখছেন। এমনকি আটক ও গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো সত্ত্বেও তাদের সংখ্যা, মামলার ধরণ বা নাম জানাতেও তারা গরিমশি করছেন।
জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা ঘর ছাড়া : এমপি লিটন হত্যার পর থেকে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা ঘর ছাড়া হয়েছে। তাদের অনেকের বাড়িতে একজন পুরুষ বলতে কেউ নেই। এদিকে গ্রেফতার ও রিমান্ড অব্যহত থাকলেও প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী অতিসত্তর প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনার আহবান জানান। তারা আরও জানান যত তাড়াতাড়ি খুনি গ্রেফতার হবে তত তাড়াতাড়ি এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
আ’লীগের কিছু নেতাকর্মী আড়ালে আবডালে : এমপি লিটন হত্যার পর থেকে এমপি বিরোধী কিছু আ’লীগ নেতাকর্মী আড়ালে আবডালে থাকছেন। তাদেরকে পলাতকও বলা যাচ্ছে না আবার তাদের দেখাও মিলছে না। এমপি লিটন ৩১ ডিসেম্বর খুন হওয়ার পর আ’লীগের লিটন বিরোধী গ্রুপের কতিপয় নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে ছিলেন। কিন্তু ১লা জানুয়ারি রাতে থানায় দায়েরকৃত লিটন হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫ জন আসামি ও জামায়াত শিবিরের দিকে অভিযোগের তীর ছোঁড়া হলে ঘাপটি মেরে থাকা আ’লীগের ওই সকল নেতাকর্মী জনসম্মুখে আসেন। কিন্তু এমপি লিটনের প্রধান বিদ্রোহী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আহসান হাবীব মাসুদকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়ার পর থেকে ওই সকল নেতাকর্মী আবারও আড়ালে আবডালে থাকছেন।
এমপি লিটনের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ মামলার বেড়াজালে কোণঠাসা : এমপি লিটন হত্যার পর থেকেই তার মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অফিস ও প্রতিষ্ঠানে তাদের নেই কোন দাপট। নেই হই-চই। কারণ এমপির সাহসেই তার মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ ৪/৫টি মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে মামলার আসামি হয়েছেন তারা। এখন মামলার বেড়াজালে তারা চারদিক অন্ধকার দেখছেন। এক ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না শর্তে আক্ষেপ করে বলেন এমপিকে যেখানে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে সেখানে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। তাদের দাবি এমপির খুনিদের অতিসত্তর আইনের আওতায় নেয়া হোক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন