স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের ২৬ কোটি ৯৮ লাখ ৭৫৫ টাকা আবাসিক বিদ্যুৎ বিল উঠিয়ে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বছরের পর বছর হিসাবের খাতায় এসব বিল অনাদায়ী দেখিয়ে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কমিটি আগামী ১৪ দিনের মধ্যে আত্মসাৎকৃত টাকা আদায় করে আদায়কৃত টাকার প্রমাণ অডিট অফিসে জমা দিয়ে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কমিটিকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য এ, কে, এম মাঈদুল ইসলাম, মো. আব্দুস শহীদ, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ এবং মো. রুস্তম আলী ফরাজী অংশ নেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপর প্রণীত সিএজির বার্ষিক অডিট রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট হারের চেয়ে অধিক হারে ঠিকাদারকে রোগীর ডায়েট বিল প্রদান করায় সরকারের ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৩ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সরবরাহকারীর নিকট থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ কম আদায়/ আদায় না করায় সরকারের ৯ লাখ ৮৬৭ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদার/সবরাহকারীর নিকট হতে নির্ধারিত হারে আয়কর কর্তন না করায় সরকারের ৪ লাখ ৪৯ হাজার ১০১ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। কমিটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে মূসক চালানের কপি মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রণের দপ্তরে জমা দিয়ে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কমিটিকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন বিভাগীয় প্রকৌশলী অফিসে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ঠিকাদার বিলের অর্থ চেকের পরিবর্তে ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯৭০ টাকা নগদে পরিশোধ জনিত ক্ষতির বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। কমিটি ত্রিপক্ষীয় সভা আহবানের মাধ্যমে অনধিক ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন