শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

‘বিএনপি’র মরাগাঙ্গে জোয়ার আসবে না’

শাকিলের স্মরণসভায় ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৪৪ এএম

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : ‘বিএনপিকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই, বিএনপি’র মরা গাঙ্গে জোয়ার আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, বিএনপি বলে আন্দোলন। এই বছর না ওই বছর হবে। তারা অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে। একে অন্যকে বলে সরকারের দালালী করে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত বিশেষ সহকারী কবি মাহবুবুল হক শাকিলের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আ’লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সভাপতিত্বে ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মীর্জা আজম এমপি, মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান প্রমুখ।
স্মরণসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, স্মরণসভা এতো বড় জনসভায় পরিণত হয় এটা আমি জীবনে প্রথম দেখেছি। এক উদীয়মান নেতার প্রতি ভালবাসায় এক বিশাল জনতার ঢল। আমি বলবো বাধ ভাঙ্গা স্রোত। এটা অবিস্মরণীয়। মানুষের ভালবাসার ফুল শুকাবে না। আর সে ভালবাসার প্রতীক মাহবুবুল হক শাকিল। আমাদের মতো জাদরেল কোন নেতা নয় আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য সে নয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। শুধু একটি পরিচয়।
স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শাকিল প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহধন্য ছিল। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস ব্রেফিং এর বক্তব্য সে তৈরি করতো। প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রশংসা করতেন সবসময়। তাঁর মৃত্যুতে শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শেখ হাসিনা শাকিলের বাবা মার চেয়ে কম কষ্ট পাননি। শাকিলের মৃত্যুও পর শেখ হাসিনার মধ্যে বোবা কান্না ছিল। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবে সুযোগ নিয়ে শাকিল প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক হতে পারতো। কিন্তু এই শোক সভা হতো না। এটা তাঁর প্রতি মানুষের ভালবাসা।
পরে ওবায়দুল কাদের প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের নামে বাইপাস সড়কের নাম করণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলেও জানান।
‘ফুল দিতে এসেছে দিতে দাও’ : জুম্মার নামাজ আদায় করে সবেমাত্র ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজের ফটকে পা রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর তখনই তাকে স্বাগত জানিয়ে এবং ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র আ’লীগ নেতা ইকরামুল হক টিটু’র পক্ষে গগণবিদারী সেøাগান শুরু করে দিলো ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ।
প্রিয় নেতার হাতে ফুল তুলে দিতে তখন ব্যস্ত ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা। বাগড়া দিয়ে বসলেন জেলা আ’লীগের এক নেতা। কিন্তু মন্ত্রী তার বারণ মানলেন না। ‘ফুল দিতে এসেছে, দিতে দাও’ ওই নেতাকে মুখের উপর বলে দিলেন এ কথা।  
মহানগর যুবলীগের ফুলেল ভালবাসায় সিক্ত হয়ে সড়কমন্ত্রী সার্কিট হাউজের ভেতরে ভিভিআইপি কক্ষ শাপলায় গিয়ে উঠলেন। পেছনে নেতা-কর্মীদের ভিড়, ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি। দরজায় তখন নেতা-কর্মীদের সামলাতে দফারফা অবস্থা নিরাপত্তা রক্ষীদের।
এক পর্যায়ে বন্ধই করে দেয়া হলো ঘরের দরজা। এ সময়টাতে অনেক ভিআইপিও এ কক্ষে প্রবেশ করতে পারেননি। শুক্রবার দুপুরের ঘটনা প্রবাহ ছিল এমনই।
স্মরণসভায় শোডাউন : স্মরণসভায় দীর্ঘ শোডাউন করে ময়মনসিংহের বিভিন্ন সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যরা। এর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল। দেশের বাইরে অবস্থান করলেও বিশাল শোডাউন করেছে ময়মনসিংহের তরুণ আ’লীগ নেতা ও ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু’র অনুসারীরা। ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান ও শহর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আরিফ পৃথকভাবে শোডাউন করেন।
শাকিলের বাসায় কাদের : মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শাকিলের বাসায় প্রবেশ করেই প্রথমেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তার বাবা জেলা আ’লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সঙ্গে। এর কিছুক্ষণ বাদেই সেখানে আসেন শাকিলের মা নুরুন্নাহার হক টগর। তাকেও সান্ত¦না দিলেন মন্ত্রী। বললেন, ‘আপনার ছেলেকে অনেক মানুষ ভালবাসে। অনেক সুশিক্ষিত তরুণের প্রিয় লোক আপনার ছেলে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন