কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত সানিকে রিমান্ড শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। ওই তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তেরর স্বার্থে আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
এরআগে সানির পক্ষে জামিন শুনানীতে আইনজীবী জুয়েল আহমেদ বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ভূয়া কাবিননামা দিয়ে এ মামলা করা হয়েছে। আরেকটি যৌতুকের মামলা করেছে, সেটাও মিথ্যা। সত্যি হলে এতোদিন কেন মামলা করেনি? এদিকে বাদীর আইনজীবী নাসরিন জাহান রুবি জামিন আবেদনের বিরোধীতা করে আদালতে বলেন, মামলা তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। এ আসামি জামিন পেলে তদন্তে বাধা দিতে পারে। সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারে। এছাড়া তদন্ত কর্মকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই আসামির জামিন নাকচ করা হোক। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে আরাফাত সানিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাত বছর আগে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর উভয়ের পরিবারকে অবহিত না করেই সানির সঙ্গে তিনি গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু, বিয়ের পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে তুলে না নিয়ে আরাফাত সানি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এমনকি তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দিলেও সানি তাতে কান দেননি। এরপর গত ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে সানি তার নাম ব্যবহার করে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে একটি ভূয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ওই আইডি দিয়ে তরুণীর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও একক ছবি ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে ওই তরুণীকে নানারকম হুমকি দিতে থাকেন। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি আরাফাত সানির বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ওই তরুণী।
যৌতুকের মামলায় অভিযোগ করা হয়, আরাফাত সানির সঙ্গে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা বাসাভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থেকেছেন। একসঙ্গে তারা বিদেশে বেড়াতেও গিয়েছেন। ওই তরুণীর অভিযোগ, সানির পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তাকে তুলে নেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে সানি তার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন এবং টাকা দিলে ঘরে তুলে নেবেন বলে জানান। যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধরও করা হয়। মামলার আর্জিতে আরাফাত সানির মা নার্গিস বেগমকেও আসামি করার আবেদন করেছেন ওই তরুণী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন