বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এটিএন নিউজের দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজের দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ। তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন দুই সংবাদকর্মী।
এটিএন নিউজের সিনিয়র প্রতিবেদক ইমরান হোসেন ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থাও নেয়া হবে। যেহেতু সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা নেয়ার বিধান নেই, সেজন্য আইন অনুয়াযী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এটিএন নিউজের পক্ষ থেকে করা ওই অভিযোগে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা আধাবেলার হরতালের খবর সংগ্রহ করছিলেন দুই সংবাদকর্মী। হরতালের শেষ দিকে বেলা পৌনে দুইটার দিকে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ওই সময় ক্যামেরা পারসন আবদুল আলীম সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর আলীমকে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় ও রাইফেলের বাঁট দিয়ে পেটান। ক্যামেরা কেড়ে নেয়ারও চেষ্টা চালান। আলীমকে মারধর করতে দেখে ওই চ্যানেলের নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী ইহসান বিন দিদার এগিয়ে যান। পুলিশ তার ওপরও কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় ও রাইফেলের বাঁট দিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাদের দুজনকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য মিলে লাথি মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে শাহবাগ থানার নিয়ে যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, থানার ভেতরেও তাদের মারধর করে পুলিশ সদস্যরা। এটিএন নিউজের ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত কয়েকজন সহকর্মী তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা আলীম ও দিদারকে উদ্ধার করেন। পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র ও স্থিরচিত্র সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে শাহবাগ থানা-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ ম-ল, পুলিশ কনস্টেবল মোখলেছুর, পুলিশ কনস্টেবল হোসেন কবির ও পুলিশ কনস্টেবল সবুজ খানকে শনাক্ত করা যায়। এছাড়া আরও অন্তত ১০-১২ জন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
amran kaderi ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:১২ এএম says : 0
ei police ra mone hoy ..............................., era police noy desher satro, jogonna shasti howa ucit. amra dekte cay............
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ৪:৫০ পিএম says : 0
আমি মনে করি এসব পুলিশ যারা সাংবাদিকের গায়ে হাত দিয়েছে তাদেরকে ফুটজ অনুযায়ী ধরে সরাসরি চাকুরিচুত করে সাজার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কারন এই সংবাদে প্রমান করে পুলিশ সাংবাদিকদের উপর এতই ক্ষেপা যে, একটা সুযোগ পাওয়া মাত্রই তাদের উপর অন্যায়ভাবে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরাই লেখালিখি করেন তাই প্রায়ই দেখা যায় পুলিশ নাজেহাল হচ্ছে এবং পুলিশের পকেট বানিজ্য প্রকাশিত হচ্ছে। ফুটজে যেটুকু দেখা গেল এটাই যথেষ্ট বুঝার জন্য পুলিস কি করছে। পুলিশ যে দেশের রাজা এটা শুধু তারা মুখে বলে না তারা সেটা কাজেও দেখিয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী ও পুলিশ প্রধান এবং আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ নিয়ে যে গর্ব কয় দিন ধরে করছেন সেটা এখন কোন পর্যায়ে গিয়ে দাড়াল সেটা কি পুলিশ বাহিনী একবার ভেবে দেখেছে??? আমি বা আমরা পুলিশের আনেক আন্যায় এযাবৎ সহ্য করে আসছি কারন তারা কোন না কোন ভাবে দেশে সন্ত্রাসকে দমনে রেখেছে। এই সংবাদে এটা প্রতিয়মান যে সাংবাদিকরা এখন পুলেশের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে ফলে তারা সন্ত্রাস দমন কায়দায় সাংবাদিকদেরকে দমন করতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি পুলিশ ভাইদের স্মরণ করে দিতে চাই আপনারা অনেক আগে থেকেই সুযোগ পাওয়া মাত্রই সাংবাদিকদেরকে জনতা সেজে হেনস্ত করে আসছেন তারপরও কি আপনারা সাংবাদিকদেরকে দমন করতে পেরেছেন??? আজ যদি সব সাংবাদিক এক হয়ে পুলিশের বিপক্ষে দাঁড়ায় আমি বলতে পারি পুলেশের চাকুরি করা কঠিন হয়ে যাবে। পুলেশ হচ্ছে জনগণের হেফাজত কারী আর সেই পুলিশ যদি হয়ে উঠে জনগণের জন্য বিভীষিকা তাহলে সেই পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানো ছাড়া আর কোন পথ আমার নজরে আসছে না। আল্লাহ্‌ আমাদের পুলিশকে তার দায় ও দায়িত্ব বুঝার ক্ষমতা দিন। আমীন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন